
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সংবাদ প্রচারের জেরে ধরে সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদের একটি এডিট করা ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি অশালীন পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদ সোমবার (১০ মার্চ) সলঙ্গা থানায় ও র্যাব-১২ তে গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ডরকম-এর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷
স্থানীয়রা জানান মোবাইল মেকার মানিক ও তার ভাই মেকার মিজান(প্রিন্স মিজান) দীর্ঘদিন যাবত র্যাব ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট মাদক ও নারী দিয়ে সলঙ্গায় ও তাড়াশে ব্যবসা করে আসছেন৷যা এলাকার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে।বিক্ষুব্ধ জনতা গত ৯ মার্চ গভীর রাতে তাড়াশ থানার খালখুলা বাজার এলাকা থেকে মোবাইল মেকার মানিককে ১ পতিতা নারীসহ আটক করে গণধোলাই দিয়ে তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করে।
এঘটনায় বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ হিসেবে প্রচারিত হলে মোবাইল মেকার মানিকের ভাই মিজান (প্রিন্স মিজান) ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোশপ করা ছবি পোস্ট করেন, যাতে অশালীন ও ভুয়া ক্যাপশন যুক্ত করা হয়।
সেখানে লেখা ছিল, “চাঁদাবাজী করতে গিয়ে গণধোলাই দিয়ে খুটির সঙ্গে বেঁধে রেখেছিল, এই সেই নামধারী, ঝুঁটিওয়ালা কাইয়ুম সাংঘাতিক।”
এই অপপ্রচারের জন্য সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদ সলঙ্গা থানায় পতিতা নারী ও মাদক ব্যবসায়ী মোবাইল মেকার মানিক ও মিজানের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
সাংবাদিক কাইয়ুম মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রশাসন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাকে ন্যায়বিচার করবে বলে আমি আশাবাদী।
এ ঘটনায় সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনোজ কুমার বলেছেন, “অভিযোগের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনায় সলঙ্গা এলাকার জনগণ ও সাংবাদিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিবার্তা/কেএম/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]