
টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সংগঠন দশমিকের পক্ষ থেকে অসহায় পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব করা হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকালে শহরের আটপুকুর পাড় এলাকার ভাসমান ছিন্নমূল ও পথশিশুদের বিনামূল্যে এ উৎসবে পিঠা খাওয়ানো হয়।
পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন দশমিকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিনারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান, তাহরিমা খান প্রভা, মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা, কোষাধ্যক্ষ মিমি আক্তার, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক প্রিয়াসা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যকরী সদস্য সুইটি, সদস্য সেজুতি, সুহা, জীম, শান্তা ও নাজাহতুন প্রমুখ।
এসময় স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সংগঠন দশমিকের উপদেষ্টা সংবাদকর্মী রাশেদ খান মেনন (রাসেল) বলেন, দশমিক এর অতিথি ভোজনের অংশ হচ্ছে এই পিঠা উৎসব। এই ছিন্নমূল শিশুরাই আমাদের বিশেষ অতিথি। সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুরা এ সকল মুখোরোচক পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে। এই শিশুদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। দশমিক পাঠশালাতে যেমন শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানে সময় দেয়া হয়, ঠিক তেমনি শিশুদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। আমরা ভিন্ন স্বাদে শীতের বিভিন্ন মুখোরোচক পিঠার আয়োজন করেছি তাদের জন্যে। পিঠা বাঙালি জীবন ও সংস্কৃতির এক অপরিহার্য উপাদান। অনেক বছর ধরে নানা রকমের পিঠার আয়োজন চলে বাংলার ঘরে ঘরে। তবে পিঠার আসল সময় শুরু হয় শীতের শুরুতে। নবান্নে তৈরি শিরনি ও পিঠা দিয়ে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অগ্রহায়ণে অর্থাৎ হেমন্তে নতুন ধান কাটার পর থেকেই মূলত পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। এক এক অঞ্চলে এক এক রকমের পিঠা তৈরি হয়। একই পিঠার নামও আবার অঞ্চলভেদে ভিন্ন। তবে এমন কিছু পিঠা আছে যেমন চিতোই পিঠা, পাটিসাপটা, পুলিপিঠা, নকশি পিঠা, তেলে পিঠা ইত্যাদি প্রায় সব অঞ্চলেই বানানো হয়।
তিনি বলেন, দশমিক সংগঠন মূলত অসহায় শিশুদের স্বপ্ন পূরণের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী তরুণ ছাত্র ছাত্রীদের হাত খরচের জমানো টাকায় ব্যতিক্রমী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বিবার্তা/ইমরুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]