
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আর সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ডিগ্রি ৩ সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। যদি তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে তাকে বলা হয় খুব তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সে হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
এদিকে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে দুর্বল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। খুব প্রয়োজন না হলে মানুষ সকালে বাইরে বের হচ্ছে না। অপেক্ষা করছেন রোদ ওঠার। অনেকে আবার জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বের হয়েছেন।
সকালে সড়ক-মহাসড়কে সাধারণ মানুষের চলচল তুলনামূলক কম। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
তীব্র ঠাণ্ডায় জেলা জুড়ে বেড়েছে শীত জনিত রোগ। চুয়াডাঙ্গায় রোটা ভাইরাস আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। সেই সাথে শীতে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি জনিত রোগ।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]