
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বনশ্রীর একটি খালি প্লট থেকে ভবনের ম্যানেজার আল-আমিন সিকদার (৩২ বছর) বয়সী এর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকালের দিকে খবর পেয়ে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন খালি প্লট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই সাখাওয়াত বলেন, মৃতের শরীরের কয়েক স্থানে আগুনে ঝলসানো ছিল। তার পড়নে জাঙিয়া ছাড়া কোনো পোশাক ছিল না। মৃত আল-আমিন খালি প্লটের পাশের ১০ তলা ভবনের ছাদের চিলেকোঠার ঘরে থাকতেন। উক্ত বাসায় তিন মাস যাবত বাড়ির দেখ ভালের (ম্যানেজার) কাজ করতেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি যে ঘরটিতে ছিলেন, সেখানে তার বিছানাসহ আগুন লাগার আলামত রয়েছে। একটি পোড়া লাকড়ি ও তার পরনের ছিল পোড়া জাঙিয়া। সেখান থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করেছেন।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, তার থাকার ঘরটিতে আগুন লাগার পর, সে ঐ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা গেছে না, এ ছাড়া অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা, তা তদন্তের পর ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।
ঢামেক মর্গে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মৃত আল আমিনের ভাই মোহাম্মদ সবুজ শিকদার জানান, মাত্র তিন মাস হলো, আমার ভাই এখানে ম্যানেজার পদে যোগদান করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায় আছি। এছাড়া আমার ভাইয়ের মৃত্যুর মাসিক খানিক আগে বলেছিলেন, গ্লোরিয়াস টাওয়ারের মালিকদের পার্টনারদের মধ্যে ঝামেলা চলছে, এটার পিছনে মালিক পক্ষ জড়িত থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাই দশ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। তিন চার বছর আগে দেশে আসেন। এর মধ্যে তিনি বেকার ছিলেন। তিন চার মাস হয়েছে তার এ চাকরিতে যোগদান। এক ছেলে এক মেয়ের জনক ছিলেন।
তার বাড়ি বরিশালের জেলার গৌরনদী থানার দিয়াসুর গ্রামে। তিনি মৃত সিরাজ সিকদার এর ছেলে। সবশেষ মেরাদিয়া বনশ্রী মদিনা মসজিদের পাশে খিলগাঁও গ্লোরিয়াস টাওয়ার এর একটি দশ তলা ভবনের ছাদের চিলেকোঠার একটি ঘরে থাকতেন আল-আমিন।
বিবার্তা/বুলবুল/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]