ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলাউদ্দীন ফকির হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার জেলার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল মনসুর মিঞা এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- ওই ইউনিয়নের কুশারীগাঁও গ্রামের মৃত মাদু মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী মোমেনা বেগম। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. নয়ন নামে এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। নয়ন একই এলাকার ফারাজ উদ্দীনের ছেলে।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলাউদ্দীন ফকির সকালে পরিষদে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি হতে বের হয়ে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোহাম্মদ আলীর বাড়ি যান। সেখানে কিছু সময় থাকার পর মহিলা ইউপি সদস্য ফাতেমা বেগমসহ তিনজন একত্রে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান। এরপর রাতে বাড়িতে ফিরে না আসলে তার পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন আলাউদ্দীন তার বন্ধু মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে মাদক সেবনসহ আড্ডায় বসেছেন। তবে গুজব রটে আলাউদ্দিন মেম্বারের সঙ্গে তার বন্ধু মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মোমেনা বেগমের গোপন অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরদিন মোহাম্মদ আলী ও নয়ন আলাউদ্দীনের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী মহসিনা বেগমকে জিজ্ঞাসা করেন মেম্বার ঘুম থেকে উঠেছে কিনা?

দুপুরে একই গ্রামের মোমিন গরুর ঘাস তোলার জন্য মোহাম্মদ আলীর বাড়ির পাশে জনৈক নাজিমের ভুট্টা ক্ষেতে আলাউদ্দিন মেম্বারের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন।

ওই দিন রাতেই মৃত আলাউদ্দিন মেম্বারের ছেলে বাদশা মিয়া পীরগঞ্জ থানায় মোহাম্মদ আলী, মো. নয়ন, বাবুল ও হামিদুল হকের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই রায়হান আলী তদন্তে মোহাম্মদ আলী, মোমেনা বেগম ও মো. নয়ন এর বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী মোমেনা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

বিবার্তা/মিলন/এনএইচ