গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০টি বাড়ি-ঘর, ২টি দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট ও ১টি ইজিবাইক ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও ২টি গরু লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ফতেপট্রি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও মাদারীপুরের রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত ১০জনকে ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, ফতেপট্রি গ্রামের তারা মোল্যা ও মিজান মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মিযান মোল্লা গ্রুপের লোকজন তারা মোল্লা গ্রুপের লোকজন বাড়িঘরে হামরা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
ভুক্তভোগী সোবাহান খান জানান, মিজানুর মোল্যা, ফিরোজ খান, সুর্য্য মোল্যা, কিবরিয়া মোল্যাসহ প্রায় শতাধিক লোক জমিজমার বিরোধের জেরে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে তারা আমার বাড়িঘর, দোকান ঘর ভাঙচুর করে, আমার বাড়িতে থাকা দুটি গরু লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আব্দুল আলী মোল্লা জানান, আমার বাড়ির ঘর ভাঙচুর করেছে। ঘরে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এছাড়াও বিল্ডিং ভেঙ্গে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে।
এসব ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলেও দুই দলণনেতাকে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি এবং তাদের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই রাকিবুল ইসলাম উজ্জল জানান, ফতেপট্রি গ্রামের তারা মোল্যা ও মিজান মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমার বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় মামরা দায়ের করেনি।
বিবার্তা/সঞ্জয়/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]