ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্রদলের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হয়েছেন।

৩০ অক্টোবর, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে সোনাগাজীর মেইন রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মিরাজ ও রায়হানকে মারধরের ঘটনায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) থানায় মামলা করে তাদের পরিবার। উক্ত মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াশ ও তার কয়েকজন অনুসারীকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় বিকালে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহাগ নুরের নেতৃত্বে সোনাগাজী পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের একাংশ।

মিছিলটি পশ্চিম বাজারে পৌঁছালে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খুরশিদ আলম সমর্থিত ছাত্রদল-যুবদলের কর্মীরা হামলা চালায়। এতে দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মিরাজ ও রায়হানের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদল নেতাদের উপর হামলা করেছে।

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহাগ নুর বলেন, দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হওয়ায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রদল। শান্তিপূর্ণ মিছিলটি পশ্চিম বাজারে পৌঁছলে ছাত্রদল-যুবদলে অনুপ্রবেশকারীরা সশস্ত্র হামলা করেছে। এতে ছাত্রদলের ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ছাত্রদলের দু'পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বিবার্তা/মনির/এসবি