
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ট্রাকে রাস্তা আটকিয়ে জালানি কাঠ ও ডাব লোড আনলোড করায় যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীসহ সাধারন জনগণ।
জানা যায়, পিরোজপুর-পাড়েরহাট-ইন্দুরকানী-কলারন সন্নাসী সড়কের বিশাল অংশজুড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে গাছের গুঁড়ি ও ডাব ব্যবসা। সড়কের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীসহ সাধারন জনগণ। ঘটে যাওয়া কয়েকটি দুর্ঘটনায় এ সড়কে ঝরেছে প্রাণও।
ইন্দুরকানী কলারণ সন্নাসী ফেরি ঘাট থেকে পিরোজপুর প্রায় ৩০ কি.মি. দূরত্ব। ইন্দুরকানী থেকে ঢাকা খুলনা বরিশাল সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। সড়কটিতে বিভিন্ন বৈধ অবৈধ যানবাহন চলাচল করে এবং শত শত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে থাকেন। তাছাড়া সড়কটির প্রস্থতা কম থাকায় যান চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ সড়কটিতে উপজেলার পাড়েরহাট চালনা ব্রিজ, পাড়ের বাসষ্টান্ড, পাড়েরহাট ফাড়ির মোড়, ইন্দুরকানী কলেজ মোড়, ঘোষেরহাট, ভবানিপুর বালিপাড়া, চন্ডিপুর অর্ধেকের ও বেশি জায়গা দখল করে জ্বালানি কাঠ আনলোড করে থাকেন। এছাড়াও যত্রতত্র অবৈধ ভাবে পার্কিং করে রাখেন বড় ট্রাক, পরিবহন বাস ও ছোট বড় কাভার্ড ভ্যান। এর কারনেই যানবাহন ও মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ। দুর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলতে হয় শিশু শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের।
অটোগাড়ী ড্রাইবার ইমাম, মিজান, শাহিন, বাদলসহ অনেকে জানান, রাস্তা আটকে ট্রাকে জ্বালানি কাঠ ও ডাব ব্যবসায়ীরা লোট আনলোট করায় আমাদের ঝুঁকির মধ্যে গাড়ী চালাতে হয়। কেউ এ বিষয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জালানী কাঠ ব্যবসায়ী মো. রবিউল, মারুফ, ফিরোজ জানান, আমরা নিজেদের অর্থায়নে রাস্তার পাশে কয়েকটি জায়গায় পয়েন্ট বানিয়ে নিয়েছি। যাতে রাস্তায় যানচলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। ইন্দুরকানী থানার সাবেক ওসি কামরুজ্জামান স্যার মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছে। ইন্দুরকানীতে এই ব্যবসা থেকে ব্যবসায়ী ও শত শত শ্রমিক পরিবার বেঁচে আছে।
পিরোজপুর নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, সড়কে কোন ধরনের ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান রেখে পন্য লোড-আনলোড করার সুযোগ নেই। কিন্তু পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়কের উপরে কিছু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে গাড়িতে পন্য লোড-আনলোড করেন এই বিষয় বিভিন্ন সময়ে অনেকবার আলোচনা করা হলেও কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রশাসনিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিবার্তা/শামীম/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]