
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিদ্যুতের খুঁটিসহ মূল্যবান বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। তবে, এখন পর্যন্ত ঘুম ভাঙছে না পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের! এদিকে ১৮ দিন হতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ওই ইউনিয়নের সাড়ে তিনশ গ্রাহক।
উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতী, মোনতোলা, কড়াইবরিশাল ও গয়নারপটোল এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীতে ভেঙে যায়। এতে করে ওই এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশত পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
২১ অক্টোবর, সোমবার সকালে দেখা গেছে, ইউনিয়নটির শাখাহাতী গ্রামের নুরুল হক মিয়ার দোকানের সামনে নদীর তীর সংলগ্ন ১টি বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি তারসহ এবং কড়াইবরিশাল মুকুল মিয়ার দোকানের সামনে ২ টি খুঁটি পড়ে আছে।
এছাড়াও শাখাহাতী বেরি বাঁধ সংলগ্ন ছয়নুদ্দী মিয়ার দোকানের সামনে এসটি থ্রি ফেইস বিদ্যুৎ লাইনে খুঁটি নদীতে ভেঙে গিয়ে হেলে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৮ দিন থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে তিনশত পরিবার,এছাড়াও লক্ষ লক্ষ টাকার বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ প্রায় ৩০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীর গর্ভে চলে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে কোটি টাকার সাবমেরিন ক্যাবল। এতো ক্ষতির পরেও পল্লী বিদ্যুৎ চিলমারী অফিস থেকে কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী খোঁজখবর নিতে আসেনি।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বারবার ফোনে কথা বললেও ঘুম ভাঙাতে পারেনি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করতেছি। ডিজিএম, এজিএম সবাইকে বলছি, তারা খালি বলছে দেখি দেখি। ইঞ্জিনিয়ার ফোন ধরে না।
চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোস্তফা কামালকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
বিবার্তা/রাফি/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]