
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অতি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে চরাঞ্চলের ৩৬ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে, তলিয়ে যায় ফসলের মাঠ। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা হয় শিক্ষা কার্যক্রম। গত দুই সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থায় মানবেতর দিন কাটছে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের পানিবন্দি অসহায় হাজারও পরিবার।
এরমধ্যে যোগ হয়েছে পদ্মার তীব্র ভাঙন। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পদ্মাপড়ের মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছে বিজিবি ক্যাম্প। চিলমারীর উদয়ননগর বিজিবি ক্যাম্প থেকে সামান্য দুরে পদ্মা নদী। যে কোন মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প এমনটি জানিয়েছেন বিজিবি সদস্য ও বন্যাকবলিত চরবাসী।
রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৬ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তলিয়ে গেছে উঠতি ফসল মাসকলাইসহ ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠ। এরপর নতুন করে যোগ হয়েছে পদ্মার ভাঙন। তাই আতঙ্কে দিন কাটাটচ্ছে পানিবন্দি অসহাস চরবাসী।
কুষ্টিয়া সেক্টরেরর ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবুব মুর্শেদ রহমান পিএসসি জানান, পদ্মা নদী থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প। যে কোন মুহুর্তে পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হতে পারে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প। ভাঙ্গন ঠেকাতে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্নয় করে ২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তবে তাতে শেষ রক্ষা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তাই ভাঙ্নরোধে প্রয়োজন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওবাইদুল্লাহ বলেন, রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফসলের ও ঘরবাড়ির। উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা চলছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থায়ী বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা চলছে। বাস্তবায়ন হলে পদ্মার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে বিজবি ক্যাম্প।
পদ্মার ভাঙনরোধে প্রয়োজন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, এমনটি দাবি ভুক্তভোগী চরবাসীর।
বিবার্তা/শরীফুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]