ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে টানা বৃষ্টির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গাবাসীর জনজীবন। টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্থানের নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি ১৫ সেপ্টেম্বর, শনিবার সকালেও অব্যাহত রয়েছে। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে আছে বাতাসের তীব্রতা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার।
টানা বৃষ্টির কারণে শনিবার সকাল থেকে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হননি। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল ছিল সীমিত। অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে দিন পার করছেন জেলা শহরের লোকজন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছেন ইজিবাইক চালক ও শ্রমিকরা। শহরে ভ্যান, রিকশা, অটো চলাচল ছিল একেবারেই কম। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলেছে। তবে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক মোসলেম উদ্দীন বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাস্তায় ঘুরছি। কিন্তু রাস্তায় যাত্রী নেই বললেই চলে। আমরা দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষ। বৃষ্টি হলেই আমাদের ভোগান্তি বাড়ে।
জেলা শহরের বাসিন্দা মারুফ হাসান সিয়াম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে চুয়াডাঙ্গায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকাল থেকেও মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম কিন্তু কোনো বাহন পাচ্ছি না।
শহরের ব্যবসায়ী নূরুল আলম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে আজ সকালে দেরিতে দোকান খুলেছি । কারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের অধিকাংশ স্থানের মতো চুয়াডাঙ্গাতেও বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা আছে।
বিবার্তা/আসিম/জেনি/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]