শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতাসহ ২ জন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কমপক্ষে ৫টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শহরের গৌরীপুর মহল্লার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে ট্রলিচালক মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) ও একই মহল্লার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিন্টুর ছেলে শ্রাবণ (২২)। শ্রাবণ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার দুই দল কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাপলা চত্বরে কথা কাটাকাটি হয়। একে কেন্দ্র করে রাতে দুই মহল্লার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই মহল্লার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই পক্ষে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় গৌরীপুর মহল্লার ট্রলিচালক মিজানকে খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকার প্রতিপক্ষ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দুটি দল তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে গুরুতর আহত শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মঙ্গলবার ভোরে তিনিও মারা যান। শ্রাবণ বর্তমানে নৌহাটা মহল্লায় বসবাস করতেন। তিনি শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এদিকে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সংঘর্ষের এলাকায় টহল দেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও দুইজন নিহতের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিবার্তা/মনির/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]