
জামালপুরের মেলান্দহে হাবিবুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু'র পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে কলেজ গেইটের সামনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগপত্র দেন তারা।
অর্থ আত্মসাতকারী, শৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, অত্যাচারী, অযোগ্য আখ্যা দিয়ে অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান এর পদত্যাগের দাবিতে কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসী। মিছিলটি মাহমুদপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিন করে আবার কলেজ গেটে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, কলেজে বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন অধ্যক্ষ। সরকার পতনের পর থেকে তিনি ভয়ে কলজে আসেননা, যার জন্য কলেজ অচল হয়ে পড়েছে। টিউশন ফি'র সরকারি অংশের টাকা উত্তলন করে আত্মসাৎ করেছেন। কলেজে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ থাকা সত্তেও মোবাইল ইন্টারনেট এর জন্য দুই হাজার টাকা কলেজ তহবিল থেকে নেন অধ্যক্ষ মিন্টু । দ্রুত সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু কলেজ থেকে তার পদ থেকে পদত্যাগ না করলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহকারী অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক মাসুদুর রহমান, নৈশ প্রহরী জুলফিকার আলম, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিওন প্রমুখ।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কোন দাবি ও কাজের জন্য গেলে তিনি খুব খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি কলেজের উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ একাউন্টে জমা করেন।
শিক্ষার্থী লিওন ইসলাম বলেন, এই কলেজে সঠিকভাবে ক্লাস নেয়া হয় না। বিভিন্ন অজুহাতে প্রিন্সিপাল স্যার কলেজে আসেননা। আমাদের কলেজের উন্নয়নের জন্য ২০লক্ষ টাকার মধ্যে সাত লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমরা তাকে পদত্যাগ করে তার অন্যায় কর্মকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, আমি ছুটিতে আছি। কিছু লোক আমাকে অধ্যক্ষের পদ থেকে অন্যায়ভাবে নামানোর জন্য এগুলো করছে।
কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. আলমগীর বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্মারক লিপি ও অভিযোগ দিয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের করা হবে।
বিবার্তা/ওসমান/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]