কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে ডুবে গেছে রাঙামাটির পর্যটনশিল্পের আইকন ঝুলন্ত সেতু।
২৩ আগস্ট, শুক্রবার সকাল থেকে ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর পাটাতনের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি, যা বেড়েই চলেছে। পানির চাপে অনেক স্থানেই খুলে গেছে পাটাতনের কাঠ। ফলে সেতুতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। তবে অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করছেন সেতুতে। ফলে যেকোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে রাঙামাটি বেড়াতে এলাম। আশা ছিল সেতুতে ছবি তুলবো। কিন্তু এসে দেখি ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে আছে। এত পরিশ্রম করে আসাটা ব্যর্থ হয়ে গেলো।’
রাঙামাটি পর্যটন নৌযান ঘাটের ম্যানেজার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল নামার কারণে কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বেড়েছে। এতে সেতুটি ডুবতে শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে আমাদের ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হবে। সেতুটি যদি আরও ৫ ফুট উঁচু করা হয় তাহলে এ সমস্যা আর থাকবে না।’
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক আলক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন ডুবে গেছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পানি কমে গেলে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’
এরই মধ্যে সেতুটি ছয় ইঞ্চি পানিতে ডুবে গেছে, এখনও পানি বাড়ছে। সেতু ডুবে থাকায় ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১০৫ এমএসএল পানি হলেই ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের তথ্যমতে, হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]