পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার নাঈম হোসেন নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় নিজ বাড়িতে এখন কাতরাচ্ছেন। সে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়।

আহত নাঈমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট পুলিশের ছররা গুলিতে তার ডান পা ঝাজড়া হয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জায়গা না হওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে রাজধানীর সুগন্ধা হাসপাতালে ভর্তি করে এবং নিজেরাই দুই ব্যাগ রক্ত দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তোলেন। ছররা গুলির ১শ ৫০টির মত কনা তার শরীর থেকে বের করা হয়। আহতের দুই দিন পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অর্থাভাবে রাজধানীতে চিকিৎসা করাতে না পেরে তার স্বজনরা তাকে গত ৮ আগস্ট জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। বর্তমানে এ যুবক ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষিপুরা মহল্লার বটতলা সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় প্রচণ্ড যন্ত্রণায় এবং শ্বাকষ্ট নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে, বসতেও পারছেন না ।

আহতের বড় ভাই ফিরোজ সিকদার জানান, অর্থাভাবে তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। চিকিৎসক বলেছেন, তার শরীরে এখনও অনেক ছররা গুলির গুড়া রয়েছে। সব বের করতে গেলে তা ডান পা দিয়ে আর কাজ হবে না। বর্তমানে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

আহত নাঈমের স্বজনদের অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধানের কাছে দাবী, একটি তাজা প্রাণ ঝড়ে যাওয়ার পূর্বে সরকারি সহায়তায় তার চিকিৎসা ভার নেয়া হোক।

উল্লেখ্য, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষিপুরা গ্রামের সোবহান সিকদারে ছেলে নাঈম সিকদার। অসহায় ও অস্বচ্ছ পরিবার নাইমের। পরিবারকে সাহায্য করতে পড়া-লেখা বন্ধ করে নাঈম কয়েক বছর পূর্বে ঢাকায় যায় নাইম। আর পরিবারকে সাহায্য করতে নির্মান শ্রমিকের কাজ নেন ওই নাইম।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আহত ওই যুবকের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিবার্তা/তাওহিদুল/এসবি