ব্রীজ ভেঙ্গে খালে, দুর্ভোগে দুই গ্রামের হাজারো মানুষ
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ১৬:৫২
ব্রীজ ভেঙ্গে খালে, দুর্ভোগে দুই গ্রামের হাজারো মানুষ
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার পশ্চিম ফুলজুরি হাওলাদার বাড়ি ও তুষখালী জমাদ্দার বাড়ির সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত সেতুটি বছরখানেক আগে ভেঙে গেছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ব্রীজটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ না নেয়ায় মঠবাড়িয়া বাজার, গুদিঘাটা বাজার, তুষখালী বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৩ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল ব্রীজটি। বছর খানেক আগে বালুর জাহাজ চলাচলের সময় ধাক্কা লাগে ব্রিজের পিলারের ক্ষতি হলে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। এতে এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।


পরবর্তীতে গ্রামের বাসিন্দা ও পিরোজপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য উদ্যোগে ব্রীজটির পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেটিও নড়বড়ে হয়ে পড়ায় পায়ে হেঁটে চলা ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলতে পারে না।


এতে তুষখালীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষেরা উপজেলা বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র মঠবাড়ীয়া হাটে কৃষিপণ্যসহ ব্যবসার মালামাল নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়া জরুরি রোগীসহ শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হচ্ছেন দুই গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ।


ধানিসাফা এলাকার বাসিন্দা তারেক হাওলাদার জানান, ২৩ বছর আগের নির্মাণ করা সেতুটি গত বছর পুরোপুরি ভেঙে খালে পড়ে গেছে। সংস্কারের অভাবে আজ ব্রীজটির এমন অবস্থা হয়েছে। দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম ছিলো ব্রিজটি। একটি বাঁশের সাঁকো করা হয়েছে এটা চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রীজটি হলে আমাদের জন্য উপকার হবে।


ধানিসাফা এলাকার বাসিন্দা মাসুম গাজী বলেন, বালুর জাহাজের ধাক্কায় ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় এখন আমাদের বিকল্প পথে ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে শিশু-নারী, বৃদ্ধ, রোগীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই দ্রুত নতুন একটি ব্রীজটি পুনর্নির্মাণ দরকার।


তুষখালী ইউনিয়ন তোফেল আকল মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, এ ব্রীজ পার হয়ে খালের ওপারের শিক্ষার্থীরা এপারের একটি কলেজ, দুটি হাইস্কুল, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশুনা করে। কিন্তু নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় তাদেরকে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হয়।


এলজিইডির মঠবাড়ীয়া উপজেলার প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত এই ব্রীজটির প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে এখানে নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা হবে


বিবার্তা/তাওহিদুল/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com