
চুয়াডাঙ্গায় শান্ত নামের এক কিশোর ইটভাটা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২ জুলাই, সোমবার দিবাগত রাতে জেলা সদরের ডিঙ্গেদহের হিমালয় অটো ব্রিকসের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শান্তর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে।
মৃত শান্ত সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্রপুর ইউপির জালশুকা গ্রামের পারহাউজ পাড়ার আজিজুল হক আইজলের ছেলে।
শান্তর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, হিমালয় অটো ইটভাটার ৫০-৬০ ফুট গভীর কয়লার হাউজ পরিষ্কার করার জন্য ভাটার অন্য কোনো শ্রমিক রাজি করাতে পারেনি মালিক পক্ষ। এক পর্যায়ে ভুলিয়ে-ভালিয়ে কিশোর শ্রমিক শান্তকে কয়লার হাউজ পরিষ্কার করতে নিচে নামিয়ে দেয়।
হাউজের নিচে অক্সিজেনের অভাব থাকায় নামার কিছুক্ষণের মধ্যে শান্তর দম আটকে গেলে সে উপরে উঠার জন্য চেষ্টা করে। পরে অন্য শ্রমিকরা শান্তকে উপরে তুলে আনতে সক্ষম হলেও তাকে বাঁচাতে পারেনি। ফলে এই মৃত্যু ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ভাটা কর্তৃপক্ষ শান্তর লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।
গ্রামবাসী আরো জানায়, বছর খানেক আগে একই কয়লার হাউজ পরিষ্কার করতে গিয়ে ঐ ইটভাটা শ্রমিক সানোয়ার হোসেন মারা যায়। সেসময় ভাটা কর্তৃপক্ষ সানোয়ার স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে পার পেয়ে যায়।
কিশোর শান্তর মৃত্যুর বিষয়ে হিমালয় অটো ইটভাটা কর্তৃপক্ষের কেউই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন বলেন, আমরা লাশ উদ্ধারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শান্ত পানিতে ডুবে মারা গেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। সুরতহাল করে লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
বিবার্তা/আসিম/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]