
নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর সৌরভ হাসান মৃদুল (১৯) নামের এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৮ জুন, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরেরচর এলাকা থেকে মির্জারচর নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সৌরভ হাসান মৃদুল রায়পুরার পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
এর আগে গত রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়েদাবাদ গ্রামের পান্থশালা ঘাটে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন তিনি। রায়পুরা সরকারি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন সৌরভ।
সৌরভের পরিবার ও নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৌরভ, জুবায়ের ও সিয়াম রোববার দুপুর ১২টার দিকে মেঘনা নদীর পান্থশালা ঘাটে গোসল করতে নামেন। তীব্র স্রোতে গোসলের একপর্যায়ে সৌরভ নদীতে তলিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে বাঁচাতে জুবায়ের ও সিয়াম এগিয়ে গেলে তারাও তলিয়ে যান। এসময় কাছেই থাকা একটি নৌকার মাঝিরা এগিয়ে গিয়ে জুবায়ের ও সিয়ামকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও সৌরভ পানিতে তলিয়ে যান। জুবায়ের ও সিয়ামকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। ওইদিন বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ডুবুরি দল নিয়ে অভিযান চালিয়েও সৌরভকে উদ্ধার করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পান্থশালা ঘাটের এক কিলোটার দূরত্বে ফকিরারচর এলাকায় নদীতে কচুরিপানার সঙ্গে সৌরভের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা থেকে উপ-পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ ঘিরে রাখেন এবং নৌ-পুলিশে খবর জানান।
দুপুর ১টায় মির্জারচর নৌ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নদী থেকে সৌরভের মরদেহ উদ্ধার করে তীরে তুলে আনেন। এসময় মৃদুলের মরদেহ শনাক্ত করতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন বাবা মজিবুর রহমান। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা।
এ বিষয়ে নিহত সৌরভের মামা মিন্টু মিয়া জানান, সৌরভ ছিল তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন আমার বড়বোন ও তার স্বামী। সৌরভকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল।
মির্জারচর নৌ-ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান, মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে নিহত সৌরভ হাসান মৃদুলের গলিত মরদেহ ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিবার্তা/কামাল/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]