
টিকিট থাকা সত্ত্বেও চড়া দামের কারণে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। নামি ও পরিচিত পরিবহনগুলোর টিকিট শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন যে-সব পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে মিলছে, সেগুলো পেতে রীতিমতো করতে হচ্ছে দেনদরবার। ফলে ক্ষেত্র বিশেষ করতে হচ্ছে দামাদামিও।
১৫ জুন, শনিবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, গতদিনের (শুক্রবার) মতো আজও বাস টার্মিনালে রয়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। যারা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন, তারা এসে সরাসরি যাত্রা করছেন। তবে যারা অনলাইনে টিকিট কাটেননি, তারা টার্মিনালে এসে খোঁজ করছেন টিকিটের।
তবে যাত্রী চাহিদা বেশি থাকায় অধিকাংশ কাউন্টার চড়া দামে টিকিট বিক্রি করছে। কেউ কেউ সে দামে কিনতে পারলেও অনেকে পড়ছেন ভোগান্তিতে।
ঝিনাইদহ যাওয়ার জন্য পরিবারসহ টার্মিনালে এসেছেন সাগর আহমেদ। টিকিটের জন্য ঘুরেছেন বেশ কয়েকটি কাউন্টারে। কেউ বলছে টিকিট নেই, কেউ চাইছে বেশি ভাড়া, আবার কোথাও এক বাসে মিলছে না ৪টি সিট।
সাগর আহমেদ বলেন, এক কাউন্টারে গেলাম সেখানে নাকি ৪টা টিকিট নেই। কিন্তু আমি তো পরিবারসহ যাব। আবার অন্য কাউন্টারে টিকিট পেলেও ভাড়া অনেক চাইছে। এখন অপেক্ষা করে দেখি অন্য বাসের টিকিট মেলে কি না।
কাউন্টারের লোকজন বলছেন, যাত্রীর তুলনায় বাস একটু কম। ফলে কোনো কোনো যাত্রীকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে ভাড়া একটু বেশি রাখা হচ্ছে। কারণ অধিকাংশ বাস ঢাকায় ফিরবে খালি অবস্থায়।
দুই বন্ধু আমজাদ ও সোহেল যাবেন রাজবাড়ী। সে লক্ষ্যে একটি কাউন্টারে টিকিটের জন্য গিয়ে জানলেন টিকিট নেই। তারপর অন্য একটি কাউন্টারে টিকিট পেলেও চাওয়া হয় বেশি ভাড়া। বেশ কিছুক্ষণ অনুরোধ করার পর নামমাত্র কিছু কমে টিকিট কিনলেন তারা।
আমজাদ বলেন, রাজবাড়ীর রেগুলার যে ভাড়া, তার থেকে ২-৩০০ টাকা বেশি চাইছে। বাড়ি তো যাওয়া লাগবে, তাই দামাদামি করে টিকিট নিতে হয়েছে।
অবশ্য কিছু পরিবহনের টিকিট মিলছে সহজে, ভাড়াও খুব বেশি রাখা হচ্ছে না।
দ্রুতি পরিবহনের কর্মচারী কামরুল বলেন, আমাদের টিকিট আছে, যাত্রীরা এসে কাটতে পারবেন। নির্ধারিত ভাড়া দিয়েই যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
এদিকে কোনো পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া রাখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত যে ভাড়া, তার চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুরো সময় টার্মিনালে রয়েছেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]