
জেলার গৌরনদীতে একটি পুকুর থেকে আলমগীর সরদার (৪৭) নামে এক রাজমিস্ত্রির ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা স্বাভাবিক না দাবি করে তার স্ত্রী শেফালী বেগম দাবি করেছেন, বসতভিটা ও জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিজের ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন আলমগীর।
১৪ জুন, শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। গৌরনদী উপজেলার শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আলমগীর গৌরনদী উপজেলার আধুনা গ্রামের মৃত আলী হোসেন সরদারের ছেলে।
এসআই আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চন্দ্রহার বাজার থেকে ভ্যানে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে যান আলমগীর। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মৃতদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই কীভাবে মারা গেছে সে বিষয়ে ধারণা করা সম্ভব হচ্ছে না। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।
যদিও রাজমিস্ত্রি আলমীরের স্ত্রী শেফালী বেগম ও ছেলে ইলিয়াস সরদারের দাবি, বসতভিটা ও জমি নিয়ে আলমগীরের সঙ্গে তার আপন ছোট ভাই শাহজালাল সরদারের বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে আলমগীর ও শাহজালালের মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন শাহজালাল হুমকি দিয়েছিল ভাইকে হত্যা না করে ঘরে ফিরবেন না। শুক্রবার সকালে ভাই আলমগীরের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
শেফালী বেগমের দাবি, দেবর শাহজালাল ও তার স্ত্রী ঝুমুর স্বামীকে হত্যা করেছে। শাহজালালকে গ্রেফতার করলে রহস্য জানা যাবে।
আর আলমগীরের ছেলে ইলিয়াস সরদার জানান, জমি নিয়ে বিরোধে চাচা মুদি ব্যবসায়ী শাহজালাল তার বাবাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলেছেন। এ ঘটনায় মামলাও করার কথা জানান তিনি।
যদিও পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ এখনও দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এসআই মো. আজাদ।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, আপাতত অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]