
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ‘সরিষার নিরাপদ ভোজ্য তেল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয়বৃদ্ধি’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের উচ্চ ফলনশীল জাতের তিল চাষ প্রর্দশনীর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের রামদিয়ায় বুধবার (১২ জুন) বিকেলে এই কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট (আরএমটিপি) প্রকল্পের উপ-প্রকল্পটি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করছে সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি)।
এসডিসি’র অডিট এন্ড মনিটরিং শাখার উপপরিচালক খন্দকার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসডিসির সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী প্রসেনজিৎ পাল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আরএমটিপি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ শাহিন আলম। এ সময় প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক তিল চাষের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, তিলের তেলে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই তেল মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল তিল চাষের পরামর্শ দেন তিনি।
স্থানীয় তিল চাষী মো. মুজিবুর রহমান বলেন, এ বছর ৫০শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল বিনা-৪ জাতের তিল চাষ করেছি। ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জমিতে জৈব সার, ভার্মি কম্পোস্ট, কেঁচো সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেছি। কম খরচ ও ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি, ৮মণ তিল উৎপাদিত হবে।
এসডিসি’র অডিট এন্ড মনিটরিং শাখার উপপরিচালক খন্দকার নজরুল ইসলাম ফসলী জমিতে জৈব সার ব্যবহারের উপকারিতা তুলে ধরে বলেন, জৈব সার মাটিতে প্রয়োগের ফলে মাটি তার হারানো শক্তি ফিরে পায়। রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সারে খরচ কম হয়। ভার্মি কম্পোস্ট সার বা কেঁচো সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা বজায় থাকে এবং অধিক ফলন হয়। উচ্চ ফলনশীল জাতের তিল চাষ প্রর্দশনীর কৃষক মাঠ দিবসে শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন
বিবার্তা/মিলু/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]