
ময়মনসিংহের ত্রিশালে হত্যার পর গর্তে পুঁতে রাখা তিন মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন, নিহত নারী আমেনা বেগম (৩০) এবং তার দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাস (২)।
আমেনা বেগম উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় ২২ মে, বুধবার সকালে ত্রিশাল থানায় নিহত গৃহবধূ আমেনা বেগমের মা মোছা. হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে খুন করে পুঁতে রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী আলী হোসেন (৪০)।
মামলায় নিহত আমেনা বেগমের স্বামী আলী হোসেনকে (৪০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন।
তিনি জানান, নিহত আমেনার স্বামী আলী হোসেন বখাটে। তিনি কোনো কাজকর্ম করেন না। তার স্ত্রী আমেনা মানুষের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন। সম্প্রতি আলী হোসেন স্ত্রী আমেনার কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু আমেনা টাকা দিতে অস্বীকার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তা মনে মনে পোষণ করে আসছিলেন। পরে ওই ক্ষোভের জেরে সপ্তাহখানেক আগে আমেনাকে ঢাকায় কাজে নেওয়ার কথা বলে দুই ছেলেসহ বাড়ি থেকে নিয়ে যান আলী হোসেন। ধারণা করা হচ্ছে ঢাকায় নেওয়ার কথা বলে আলী হোসেন তার স্ত্রী-সন্তানদের পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে গর্ত করে পুঁতে রেখে পালিয়ে গেছেন। তবে আসামি গ্রেফতারের পর বিস্তারিত জানা যাবে-বলেও যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ জানায়, নিহত আমেনা খাতুন উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুল খালেকের মেয়ে। ৬ বছর আগে আমেনা খাতুনের সঙ্গে তার আপন মামাতো ভাই রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের বিয়ে হয়। আলী হোসেন কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুল হামিদের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামে একটি নির্জন স্থানে শিয়ালের টানা-হেঁচড়ায় এক নারী ও দুই শিশুকে মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনার সন্ধান পায় এলাকাবাসী। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]