
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় আকলিমা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ স্বামী রহমতউল্লাহকে আটক করেছে।
২৫ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের দেবোত্তরপাড়া ডান্নেরপাড় গ্রামের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।
গৃহবধূ আকলিমা উপজেলার দেবোত্তরপাড়া ডান্নেরপাড় গ্রামের মো. রহমতউল্লাহর স্ত্রী ও পাগলারমুখ গ্রামের আব্দুল হাকিমের মেয়ে। তিনি দুই সন্তানের জননী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৩-১৪ বছর আগে ঝিনাইগাতীর দেবোত্তরপাড়া ডান্নেরপাড় গ্রামের রহমতউল্লাহর সঙ্গে পাগলারমুখ গ্রামের আকলিমা বেগমের বিয়ে হয়। সম্প্রতি রহমতউল্লাহ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই বিষয় নিয়ে স্বামী রহমতউল্লাহর সঙ্গে স্ত্রী আকলিমার পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এক সপ্তাহ আগে স্বামীর সঙ্গে রাগ করে আকলিমা বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর গত ১৯ এপ্রিল রহমতউল্লাহ স্ত্রী আকলিমাকে বুঝিয়ে বাবার বাড়ি থেকে দেবোত্তর পাড়া ডান্নেরপাড় গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে আকলিমা নিখোঁজ ছিলেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দেবোত্তরপাড়া ডান্নেরপাড় গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হলে ও মাছি উড়তে থাকলে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে।
সংবাদ পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে আকলিমা বেগমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত গৃহবধূর স্বামী রহমতউল্লাহকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে (আকলিমা) হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ওই সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
বিবার্তা/মনির/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]