শিরোনাম
নাটোরে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিতে কলা চাষ
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৭, ২০:৪৫
নাটোরে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিতে কলা চাষ
জুবায়ের হোসেন বাপ্পি, নাটোর
প্রিন্ট অ-অ+

নাটোরের সিংড়ায় কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই শতভাগ রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ মুক্ত কলা উৎপাদনের জন্য ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চলতি বছরে উপজেলার ইটালি, কলম, চামারী, হাতিয়ানদহসহ কয়েকটি ইউনিয়নে এ প্রযুক্তিতে কলা চাষ শুরু করেছে কৃষকরা।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরের চেয়ে উপজেলায় কলার চাষ বাড়ছে। গত বছর উপজেলায় ১৪০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছিল। চলতি বছরে ১৫০ হেক্টর জমিতে কলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ বছর লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।


সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে ও পুকুরের চার ধারে সারি সারি কলা গাছ আর গাছগুলোতে ঝুলছে বিশেষ ধরনের পলিথিন। এই পলিথিন দিয়েই মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কলার কাঁদি।


ইটালি ইউনিয়নের কলা চাষি শিহাব উদ্দিন জানান, কলার আকার বড় করতে এবং পোকামাড়ক মুক্ত কলা চাষের জন্য প্রচুর পরিমানে কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন হতো। কিন্তু বর্তমানে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুয়ায়ী কীটনাশক ছাড়াই ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিতে কলা চাষ শুরু করেছি। এতে বিষ মুক্ত কলা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মানবদেহ রোগ বালাই থেকে রক্ষা পাবে।


অপর এক কলা চাষি আব্দুল লতিফ বলেন, প্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করে কলা সংগ্রহের তিন মাস আগে থেকে নিয়মিত কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। কিন্তু বর্তমানে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না। এতে কলা চাষে খরচ কমে যাওয়ায় অধিক মুনাফার আশা করা হচ্ছে।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই শতভাগ রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ মুক্ত হওয়ার ফলে উপজেলায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষ দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এতে করে কলা চাষে কৃষকদের বাড়তি খরচ কমে যাচ্ছে। এর ফলে পুকুর পাড় ও পতিত জমিতে স্বল্প খরচে কলা চাষের দিকে ঝুঁকছে চাষিরা।


নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আম ও বেগুনের ফ্রুট ব্যাগিং ব্যবহারের সাফল্য থেকে কলা চাষে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি বেছে নেওয়া হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ভাবে নাটোরে এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বালাইনাশক ব্যবহার ছাড়াই পরিষ্কার ও রোগমুক্ত কলা উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কলার রং সুন্দর হচ্ছে এবং পাকা কলা পাঁচ থেকে সাত দিন ভালো রাখা সম্ভব হচ্ছে। বিষ মুক্ত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার ফলে ক্রেতারা সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছেন। তাছাড়া এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই কলা বিদেশে রপ্তানি করা সহজ হবে।


বিবার্তা/বাপ্পি/নাজিম

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com