
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আমবাগান থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, হত্যার পর মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১২ এপ্রিল, শুক্রবার রাত ১১টায় উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত লাশটি উপজেলার ইয়াসিন আকনকান্দি গ্রামের শামসু মোড়লের ছেলে লতিফ মোড়লের।
স্থানীয়রা জানান, লতিফ মোড়লের সঙ্গে একই এলাকার সালমা বেগমের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সালমার অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে পূর্ব নাওডোবা ফরাজীকান্দি গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন লতিফকে আটকে রেখে মারধর করে।
পরে পরিবারকে খবর দিলে তারা যাওয়ার আগেই লতিফ মোড়লকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর থেকে লতিফের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত ১০টার দিকে উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার আমবাগানে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
লতিফ মোড়লের ছোট ভাই সজিব মোড়লের অভিযোগ, আমার ভাইকে ওরা মেরে ফেলেছে। বিয়ের পরও ওই মেয়ে আমার ভাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই যোগাযোগ করত। শুক্রবার সালমা বেগমের স্বামী আমার ভাইকে দেখা করতে বলে। ভাই সেখানে গেলে তাকে আটকে রেখে মারধর করে। তারাই আমার ভাইকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এ বিষয়ে সালমার স্বামী সালাম ফরাজী বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসলে আমরা আটক করে মারধর করে পরিবারকে জানিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। এরপর কী হয়েছে, তা আমার জানা নাই।
জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]