
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। ঈদের দিন বাড়ি ফিরতে তারা লঞ্চ টার্মিনালে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন- মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইসা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়।
নিহত অপর দুজন হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।
সদরঘাট নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিয়াকাত আলী বলেন, দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তারা হলেন, বেল্লাল, মুক্তা ও মাইশা। বেল্লাল ও মুক্তা স্বামী-স্ত্রী আর মাইশা তাদের তিন বছরের কন্যা সন্তান। এ ঘটনায় কোনো আহত বা নিখোঁজ নেই।
এসআই লিয়াকাত আলী বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিহতদের মরদেহ এখন মিডফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
তিনি বলেন, নিহত স্বজনরা যদি ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিয়ে যেতে চান তাহলে তাদেরকে নৌ-পুলিশের কাছে আবেদন করতে হবে। তাদের আবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সদরঘাটের ১১নং পন্টুনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম।
প্রত্যক্ষদর্শীসহ সদরঘাট লঞ্চঘাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচজন যাত্রী নিহত হন।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]