ঋণ জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৪
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৭
ঋণ জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৪
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতি করে ইতোমধ্যে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন একটি চক্র, আরো ঋণ পেন্ডিং ছিল ৫০ কোটি টাকা। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঋণ জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।


শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন, জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস (৪২), নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী পল্লব দাস (৩৬), রফিকুল ইসলাম খাঁন (৩৮) ও আলিফ হোসেন (২০)।


৬ এপ্রিল, শনিবার দুপুরে ডিবির নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


হারুন বলেন, প্রতারক জয়নালের এক সময় কিছুই ছিল না। তিনি ইমিটেশন পণ্যের দোকান করতেন। কিন্তু সেই ব্যবসায় লস করে তিনি ব্যবসা ছাড়েন। এরপর জড়িয়ে পড়েন প্রতারণায়। জয়নাল তার প্রতারণার জন্য একটি কোম্পানি খুলে সেখান থেকে আরও সাতটি কোম্পানির নামে কাগজপত্র তৈরি করে রেখেছিলেন। পরে সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের দিয়ে ঋণ নিতেন। আমরা তাকেসহ পল্লব দাসকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করব। এছাড়া তারা আর কতটি ব্যাংক থেকে এমন ঋণ নিয়েছেন তা আমরা খতিয়ে দেখব। তাদের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে তাদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।


তিনি বলেন, পল্লব জাল এনআইডি বানিয়ে দিতেন। পরে এসব এনআইডি দিয়ে ব্যাংক লোন নেওয়া হতো। তবে এই পল্লব এনআইডি বানিয়ে দিয়ে কত টাকা কামিয়েছেন এবং তার অর্থ সম্পদ করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখবে ডিবি।


ডিবি বলছে, জয়নালের কার্যকর ১০টি এনআইডি ছিল। এসব এনআইডি দিয়ে সে বিভিন্ন ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করত। ‍এনআইডির নাম ও ঠিকানা ঠিক থাকতো শুধু সে সেটির নম্বর পরিবর্তন করে আরেকটি তৈরি করতো। পল্লব দাস যে অফিসে চাকরি করতো সেই অফিসারের ব্যবহৃত সার্ভারের পাসওয়ার্ড তার কাছ থাকতো এই সুবাদে সে এসব ভুয়া কার্যকর এনআইডি করত।


ডিবি প্রধান বলেন, জয়নাল তার এনআইডি দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে শুধু নম্বরগুলো পরিবর্তন করে আরেকটা এনআইডি বানাতো। এজন্য কোনোটাতে সে দাড়িসহ ছবি দিতো। আবার কোনোটাতে গোঁফ, কোনটা দাড়ি গোঁফ ছাড়া থাকতো। কোনোটা দুই বছর আগের আবার কোনটা পরের। একই জমি, একই ফ্ল্যাট ও একই অফিস দেখিয়ে ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করত জয়নাল। কিছু ব্যাংক থেকে তিনি ঋণ নিয়েছিলেন আবার কিছু ব্যাংক থেকে তার ঋণ পেন্ডিং অবস্থায় ছিল। পেন্ডিং এমন ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটির টাকার কম নয়। একই এনআইডি ও ভুয়া দলিল দিয়ে জয়নাল একই নামে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ তুলেছে।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com