রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শেকলে বেঁধে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তরুণীর প্রেমিকসহ চার আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- গ্রেফতার তরুণীর প্রেমিক সান, হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর।
১ এপ্রিল, সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এদিন চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এসময় আসামি পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আসামি সান ঘটনার বিষয়ে কিছু জানে না। আসামির সঙ্গে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে না করার কারণে এই মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বিচারক বলেন, যত বড় ব্যক্তি হোক না কেন, জড়িতদের নামগুলো যেন অভিযোগপত্রে আসে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শেকলে বাঁধা অবস্থায় ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী। নবীনগর হাউজিংয়ের ওই বাসায় তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে গত ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী।
এর আগে তরুণীর চিৎকারে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি ফোন করলে পুলিশ তরুণীকে শেকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজিজুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । তিনি জানান, ফোন পেয়ে নবীনগর হাউজিং এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, টানা ২৫ দিন একটি ফ্ল্যাটে ওই তরুণীকে বেঁধে রেখে ধর্ষণ করেন প্রেমিক ও তার দুই বন্ধু। এতে সহায়তা করেন অপর এক নারী। মামলায় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]