গড়াই নদীর ওপর কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু নির্মাণের ফলে র্দীঘ ৩৫ বছরের আন্দোলনের পর লাখো মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন গড়াই নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুর উদ্বোধন করবেন।
ইতিমধ্যে সেতুটি উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শনার্থী আর এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসাহ-উদ্দিপনা ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সাথে তাদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার।
কুষ্টিয়া শহর থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের রাস্তা। ওপারে হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন। একটি নদী ইউনিয়নটিকে শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। বার বার লোক দেখানো ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, আর ভোট শেষে নদীর পাড়ে জমাকৃত রড-সিমেন্ট নিজের বাড়ির কাজে ব্যবহার করার মধ্যদিয়ে বিগত বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের ‘শুভংকরের ফাঁকি’ রাজনীতির অবসান হলো।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ, বাইপাস সড়ক ও কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু নির্মাণের কথা ছিল বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের। কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর কাজও প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি হাজী রবিউল ইসলাম।
এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর এ সেতুর নির্মান কাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬০৪ মিটার ও প্রস্থ ৬ দশমিক ১ মিটার। সেতুর কুষ্টিয়া অংশে ২০০ মিটার ও হরিপুর অংশে ১৯৬ মিটার।
সেতু পারাপারে কোনো টোল নেয়া হবে না জানিয়েছেন কুষ্টিয়া স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন।
দেশের সবচেয়ে বালিবাহিত নদী গড়াই নদী। এ নদীতে সেতু নির্মাণের কথা কেউ কখনও ভাবেনি। বর্তমান সরকার শেখ রাসেল সেতু নির্মাণ করে হরিপুরবাসীর স্বপ্ন পূরণ করে কষ্টের অবসান ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়া জানিয়েছেন।
বিবার্তা/শরীফুল/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]