
রাজধানীর মিরপুরের ব্যস্ত সড়কে আবারও খুনের শিকার হলেন মো. ফয়সাল ওরফে রাসেল (২৫) নামের এক যুবক। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ৮-১০ যুবক। এ ঘটনায় ফয়সালের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু রাশেদও আহত হয়েছেন। আহত রাশেদ (৩০) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পল্লবী থানাধীন মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকার পানির ট্যাংকির মোড়ের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও চিত্রে ধরা পড়েছে সেই হত্যার দৃশ্য। দেখা যায়, দুর্বৃত্তরা অটোরিকশার গতিরোধ করে দুই তরুণকে নামিয়ে মারধর শুরু করে। একজনকে রাস্তার একদিকে নিয়ে যায়। আরেকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
জানা গেছে, নিহত ফয়সাল ও আহত রাশেদ পেশায় দর্জির কাজ করতেন। আহত রাশেদ বলেন, পল্লবী পুরাতন থানার সামনে তারা কয়েক বন্ধু মিলে ইফতার শেষ করে বাসার দিকে ফিরছিলেন। ওই এলাকায় বাসিন্দা তানজিলার ভাই শাহিন ও স্বামী কালুসহ ৮-১০ জন ধারালো ছুরি নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে।
নিহতের বন্ধু সানাউল্লাহ বলেন, ‘পূর্বের কোনো বিষয় নিয়ে শাহিনের সঙ্গে গতকাল (শুক্রবার) তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। আজ (শনিবার) বিকালে শাহিনের বোন তানজিলার বাসার সামনে ফয়সাল গান গাচ্ছিল; সেটাকে ব্যঙ্গ মনে করে তানজিলা তার স্বামী ও ভাইকে তাদের দুইজনকে মারার নির্দেশ দেয়। এরপর তারা এলোপাথাড়ি আক্রমণ করে।
মৃতের বাবা শাহাদত বলেন, ‘খবর পাই ওই এলাকার শাহিন ও কালুসহ বেশ কয়েক জন আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে। পরে ঢামেক হাসপাতালে এসে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় আটক হওয়া দু’জনের মধ্যে একজন সরাসরি হত্যায় অংশ নেন। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পল্লবী থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম জানান, মৃতের পরিবার থেকে জানতে পেরেছেন তানজিলাকে নিয়ে বাসার সামনে গান গেয়েছিল। সেটাকে কেন্দ্র তার স্বামী ও ভাই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে পরিবারের দাবি। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত রাশেদ চিকিৎসাধীন রয়েছে উল্লেখ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]