
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় যাত্রাবাড়ীতে ও হাজারীবাগে দুই শিশুর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় বাবার সাথে অভিমানে মো. নয়ন (১৬) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
১৭ মার্চ, রবিবার সকাল ১১টার দিকে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দুপুর পৌনে একটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিক্ষার্থীকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা তার বাবা রাজা মিয়া জানান, আমার ছেলে নয়ন কুতুবখালী আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বেশ কিছুদিন আগে তাকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম। সেই মোটরসাইকেল ব্যবহারের পর আবার সে আবদার করে তার পছন্দের আর একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে। এ নিয়ে আমি বকাঝকা করলে আমার উপর অভিমান করে বাসার নিজ রুমে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে আমরা টের পেয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় নামিয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোড়াদাইল গ্রাম। যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, কিশোরের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানাকে অবগত করা হয়েছে।
অপরদিকে হাজারীবাগের কালুনগর এলাকার একটি বাসার খাটের উপর থেকে রাজিয়া আক্তার (১৩) নামের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ শনিবার (১৬ মার্চ) রাত দশটার দিকে।
হাজারিবাগ থানার উপপরিদর্শক (এস এই) বিল্লাল হোসেন শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে বারোটার দিকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই বিল্লাল জানান, আমরা খবর পেয়ে রাতে ওই শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করি। শিশুটির মা শাহেদা খাতুনের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঘটনার সময় বাসায় কেউ ছিল না। ওই ফাঁকে যেকোনো এক সময় আড়ার সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তারাই শিশুটিকে নামিয়ে খাটের উপরে রাখে। ছোটবেলায় তার মা সাইদা খাতুনকে বাবা ডিভোর্স দেয়। এরপর থেকে মা লালন পালন করে ওকে মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। ছোটবেলা থেকে বাবাকে না দেখতে পেয়ে সবসময় একা একা থাকতো কারো সাথে বেশি কোন কথা বলত না। শিশুটির মা বাসা বাড়িতে কাজ করেন।
হাজারিবাগ থানার উপ পরিদর্শক এসআই তাহমিনার রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। মৃতের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার, মেহেন্দিগঞ্জ থানার, পশ্চিম কাজিরচর গ্রামে। তার বাবা মিলন চৌকিদার বর্তমানে হাজারীবাগ কালিনগর এলাকার ১১/২ নম্বর বাসিন্দা।
বিবার্তা/বুলবুল/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]