উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা চলছে।

এ উপ-নির্বাচনে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টি-জেপির সাবেক এমপি ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (বাই সাইকেল), জাপা (এ) মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল), এনপিপির জিয়া জামান খান (আম) প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার সূত্রে জানা যায়, ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকার ১০৯টি ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩শ ৮১ জন ভোটার ভোট প্রদান করেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪১ জন।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১৬টি ইউনিট, ৪ হাজার পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ টিম নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, নির্বিঘ্নে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গণনা শেষে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার পর আসনটি শূন্য হয়।

বিবার্তা/প্লাবন/সফিকুল