ফকির রওশন শাহ্’র খেলাফত বার্ষিকীতে
দৌলতপুরের ভেড়ামারা দিব্যধামে অনুষ্ঠিত হলো সাধুসঙ্গ
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৪
দৌলতপুরের ভেড়ামারা দিব্যধামে অনুষ্ঠিত হলো সাধুসঙ্গ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

‘কবে সাধুর চরণধূলি মোর লাগবে গায়’ লালন সাঁইজির এই অধ্যাত্ম বাণীকে প্রতিপাদ্য করে ফকির রওশন শাহ্’র ৩৫তম খেলাফত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নিভৃত পল্লী ভেড়ামারা দিব্য ধামে অনুষ্ঠিত হলো সাধুসঙ্গ।


সাঁইজির ভাব ও ভক্তি দর্শন, আত্মশুদ্ধি, জ্ঞানযোগ আর গুরুকর্মের মধ্য দিয়ে সোমবার বিকেলে দিব্যধামে এ সাধুসঙ্গের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সাধুসঙ্গের আয়োজক ফকির রওশন শাহ্’র আমন্ত্রণে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সাধু, লালন ভক্ত ও অনুসারীরা এতে যোগ দেন।


সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে ফকির লালন সাঁইজির গীতজ্ঞান সুধা পরিবেশন করেন দেশের খ্যাতিমান শিল্পী ও বাউল-সাধুুবৃন্দ।


সন্ধ্যায় মুড়ি-চা সেবার পর রাতে প্রবীণ সাধু দরবেশ নহির শাহ্’র সাঁইজির বানী পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গীতসুধা পর্ব এবং তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। গীতসুধা পর্বে সাঁইজির বানী পরিবেশন করেন ফকির রওশন শাহ্, দেশ বরেণ্য শিল্পী সরকার আমিরুল ইসলাম সহ প্রবীণ সাধু ও আমন্ত্রিত বাউল শিল্পীবৃন্দ।


প্রবীণ সাধু দরবেশ ফকির রওশন শাহ্’র মতে দরবেশ লালন সাঁইজির পথ ও মত ছিল প্রকৃতিবাদী। প্রকৃতিবাদী হয়ে প্রকৃতি সাধনের মাধ্যমে নিজের আত্মসংস্কার করে একজন সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার যে মাধ্যম তা হলো সাধুসঙ্গ। আর সাধুসঙ্গের মাধ্যমে লালন সাঁইজির আত্মদর্শন লাভ সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।


২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ণসেবার মধ্য দিয়ে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষ হলেও দিব্যধামে আসা সাধু ও দর্শনার্থীদের অনেকে রয়ে যাবেন আরো কয়েকদিন। আবার অনেকে জ্ঞানযোগ ও আত্মশুদ্ধি নিয়ে ফিরে গেছেন নিজ নিজ ধামে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে গোষ্ঠলীলা, দৈন্যবাণী, বাল্যসেবা ও লালন সাঁইজির বানী পরিবেশন করা হয়।


বিবার্তা/শরীফুল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com