চুয়াডাঙ্গায় সাড়া ফেলেছে রঙিন ফুলকপি
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৮
চুয়াডাঙ্গায় সাড়া ফেলেছে রঙিন ফুলকপি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে হলুদ আর বেগুনি রঙের ফুল। না এগুলো ফুল নয়, এ গুলো এক ধরনের ফুলকপি। চুয়াডাঙ্গায় মানিক রতন নামের এক যুবক বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা বিভিন্ন রঙের এই ফুলকপি।


মানিক রতন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হুচুকপাড়া গ্রামের মৃত বজলু বিশ্বাসের ছেলে। দুই বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে মানিক সবার ছোট। পিতৃহারা হওয়ার পর সংসারের হাল ধরেন ১০ বছরের ছোট মানিক।


জানা গেছে, ছোটবেলা থেকে লেখা পড়ার পাশাপাশি নিজস্ব জমিতে সবজি চাষ করেন মানিক রতন। কয়েক বছর ফুলকপি এবং বাঁধাকপি চাষ করলেও গত বছর নতুন কোন সবজি চাষের চিন্তা মাথায় ঢোকে তার।


পরিবার ও এলাকার মানুষের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন রঙিন ফুলকপি চাষ করবেন। গত বছরের নভেম্বরে ২৫ শতক জমিতে ভ্যালেন্টিনা, ক্যারেন্টিনা এবং এলিট নামের তিন ধরনের ফুলকপি চাষ করেন।


মানিক রতনের রঙিন ফুলকপি রীতিমতো সাড়া ফেলেছে জেলায়। তার এ রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। মানিকের ফুলকপি কেউ কিনছেন আবার কেউ চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন।


এলাকাবাসী বলেন, এর আগে কখনো এরকম ফুলকপি তারা দেখেননি। বাইরে থেকে একেবারেই দেশীয় ফুলকপির মতো দেখতে। কিন্তু বাগানের মধ্যে গেলে দেখে মনে হতেই পারে এটি একটি ফুল বাগান।


জানতে চাইলে মানিক রতন বলেন, নতুন নতুন জাতের চাষাবাদ করাই তার নেশা। গত বছর ২৫ শতক জমিতে ভ্যালেন্টিনা, ক্যারেন্টিনা এবং এলিট নামের তিন ধরনের ফুলকপি চাষ করি।


তিনি বলেন, ভ্যালেন্টিনার রং বেগুনি, ক্যারেন্টিনার রং হলুদ এবং এলিটের রং সাদা। একেকটি ক্যারেন্টিনার ওজন হয়ে এক থেকে দেড় কেজি হয়ে থাকে আর ভ্যালেন্টিনার ওজন দেড় থেকে দুই কেজি হয়ে থাকে।


মানিক রতন আরও বলেন, চারা লাগানোর দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়। ২৫ শতক জমিতে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আশা করি ৭৫-৮০ হাজার টাকার মতো কপি বিক্রি হবে।


চুয়াডাঙ্গার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্যালেন্টিনা, ক্যারেন্টিনা কপিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ আছে। অন্যান্য সজবিতে যে পরিমাণে ভিটামিন এ আছে এটাতে কমপক্ষে ২৫গুন বেশি আছে। বাজারে এর চাহিদা প্রচুর।


জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এর বাজার দর দ্বিগুণ। ভ্যালেন্টিনা, ক্যারেন্টিনা বর্তমান বাজার মূল্য ৫৫-৬০ টাকা কেজি। কৃষক এটি চাষ করে বেশ লাভবান হবে। কৃষককে কৃষি বিভাগের পক্ষ থাকে সব ধরনের সহযােগিতা করা হচ্ছে।


বিবার্তা/আসিম/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com