মাঝারি শৈত্য প্রবাহের পর একদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। তারপর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিম বাতাসে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও নেই উত্তাপ।
শনিবার, ২৭ জানুয়ারি সকাল ৬টায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৩ শতাংশ।
আর সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ৯৪ শতাংশ ছিলো বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
এর আগে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ও সকাল ৯টায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল যথাক্রমে ১০০ ও ৯৪ শতাংশ।
একদিকে উত্তাপহীন সূর্য ও অন্যদিকে উত্তর থেকে ধেয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতে নিম্নআয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। টান পড়ছে আয়-রোজগারে।
ভ্যান চালক আবুল হোসেন বলেন, কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হয়। হাত বরফের মতো হয়ে যায়। কিন্তু কিছু করার নেই। ভ্যান না চালালে তো পেট চলবে না।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। আরও কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে।
বিশেষ করে সদর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিবার্তা/আসিম/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]