
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা থেকে অপহৃত শিশু তানজিমুল হককে (১০) ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৬ জানুয়ারি, শুক্রবার ভোরে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে অপহরণকারীরা শিশুটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মা-বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। অপহৃত তানজিমুল হক উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি বনপুর এলাকার বাসিন্দা এহসান উল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত অপহরণকারী শামসু আলমকেও (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপহৃত শিশুর মা মাইমুনা শাকেরা প্রকাশ রহিমা বেগম (৩৫) জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (১৪), মো. এরফান (১২) ও তানজিমুল হক (১০)কে বাড়িতে রেখে স্বামী ছোট মেয়ে তানজিলা সুলতানা (৫) কে নিয়ে জরুরি কাজে বান্দরবান সদরে যান। একই দিন বিকাল ৪ টার দিকে বাড়িতে ফিরে শিশু তানজিমুল হককে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে অপহরণকারীরা বাদীকে মোবাইল ফোনে জানায়, তানজিমুল হককে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আটক করে রেখেছে। ছেলেকে পেতে হলে মুক্তিপন বাবদ ১,০০,০০০ টাকা দিতে হবে। দাবীকৃত মুক্তিপনের টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলবে।
মুক্তিপনের টাকার জন্য মা-বাবাকে মুঠোফোনে একাধিকবার হুমকিও দিতে থাকেন অপহরণকারীরা। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে লামা থানায় (মামলা নং-১১/১১, তারিখ- ২৬/০১/২০২৪খ্রি.) ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৮/৩০ রুজু করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যে অপহরণকারীর অবস্থান সনাক্ত করে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানা এলাকা থেকে অপহরণকারী শামসু আলমকে আটকের পাশাপাশি অপহরণকারীর হেফাজত থেকে শিশু তানজিমুল হককেও উদ্ধার করেন পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম শেখ বলেন, আটক অপহরণকারী শামসু আলমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিবার্তা/আরমান/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]