
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় নিখোঁজের ৪ দিন পর ২৪ জানুয়ারি, বুধবার কংস নদ থেকে গৃহবধূর (আঁখি মনি) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গৃহবধূ আঁখি মনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন তার বাবা।
২৫ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিকেলে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে স্বামী বিল্লাল হোসেন, ভাসুর খাইরুল ইসলাম ও বিল্লালের ভগ্নিপতি উজ্জ্বল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বিবাহিত জীবনে আঁখি সুখী ছিল না। প্রায়ই বিল্লাল, খায়রুল, উজ্জ্বল আঁখিকে মারধর করতো। পুলিশ বিল্লালের বাড়ি থেকে আঁখির হাতের লেখা দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি পেয়েছে। যা থেকে বুঝা যায় আঁখি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
উল্লেখ্য ১ বছর আগে নেত্রকোনা জেলাধীন বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে আঁখি মনি'র সাথে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাধীন ঘুলুয়া গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেনের বিয়ে হয়। গত রবিবার স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আঁখি। এর পরদিন আঁখি'র বাবা এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে বুধবার সকালে কংস নদে স্থানীয়রা আঁখির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিন আলমের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সকাল ১১টার দিকে আঁখি'র মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিনই গৃহবধূর স্বামী বিল্লাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ শামছু দোহা বলেন, চিঠির সূত্র ধরে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে গৃহবধূর বাবা আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেছেন। বিল্লাল ও খাইরুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিবার্তা/শহীদুল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]