
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তা হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নারীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৯ জানুয়ারি, শুক্রবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানা গেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে জানান, নিহত বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তার বড় ভাইয়ের ছেলে তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত। নিজ ফুফুকে হত্যার কারণে মেহেদী হাসান শুভকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাবার সঙ্গে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে ফুফু রিক্তাকে হত্যা করে শুভ। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর শিক্ষার্থী বলে দাবি করছেন।
মমতাজ বেগম রিক্তা দুবাই প্রবাসী হারুনুর রশিদের স্ত্রী। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ির টয়লেট থেকে মমতাজের কম্বল প্যাচানো রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বিয়রে পর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি জমিতে ঘর করে বসবাস করতেন নিহত মমতাজ। তার ওই জমি ও ঘর নির্মাণ নিয়ে আপন বড় ভাই আব্দুল মালেক বেপারী, তার স্ত্রী কহিনুর বেগম ও ছেলে মেহেদী হাসান শুভর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
ঘটনার দিন রাতে ভাইয়ের ছেলে মেহেদীকে পেয়ে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মমতাজ। একপর্যায়ে তিনি বড় ভাই আব্দুল মালেক বেপারী ও কোহিনুর বেগমকে দোষারোপ করেন। বাবা-মাকে নিয়ে এমন কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ছেলে মেহেদী হাসান শুভ। পরে রাগের মাথায় সে তার নির্মাণাধীন ভবন থেকে একটি হাতুড়ি ও কাটার নিয়ে সজোরে তার ফুফুকে পেছনে থেকে আঘাত করে এবং পরবর্তীতে তার পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় নিহতের স্বামী হানুনুর রশিদ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]