নৃশংসভাবে অটো রিকশা চালক মো. আরিফ হত্যাকাণ্ডের আট দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি থানা পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ‘ক্লু’ উদঘাটনের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্যের মুখ দেখতে পায়নি কেউ। অন্যদিকে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহজনক ১০ জনেরও অধিক মানুষকে থানা পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোন রহস্য উদ্‌ঘাটন করা যায়নি, এমনকি কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ।

গত কয়েক বছর আগেও একই পদ্ধতিতে আরেক রিকশা চালককে হত্যা করা হয়েছিলো, তখন পুলিশ ওই ঘটনা সুরাহা করতে পারলেও এবার রিকশা চালক আরিফের ঘটনায় কোনো প্রকার ‘ক্লু’ উদ্‌ঘাটন ও খুনিদের ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

মানবাধিকার কর্মী নুর মোহাম্মদ নাঈম জানান, বেশ কয়েক বছরে কর্ণফুলী উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিনদিন অবনতি হচ্ছে। ছিনতাই, কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, মাদকের ব্যবহার বেড়েছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দোষ দিলেই হবে না। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে রিকশা চালক হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আবুল কালামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহাম্মদ জহির হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই। আমরা চেষ্টা করতেছি।

বন্তর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা বলেন, পুলিশ খুব সূক্ষ্মভাবে এ হত্যামামলার তদন্ত চালাচ্ছে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখতে একাধিক টিম বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে তদন্তের কাজ করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে আমরা অনেক তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটন হবেই, আর খুনিরাও ধরা পড়বে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের নিমতলা এলাকার বড়বিল নামক স্থানে মো. আরিফ (১৬) নামে এক অটো রিক্সা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আরিফের মা সাফিয়া বেগম (৩৫) বাদী হয়ে সিএমপি কর্ণফুলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ভিকটিম আরিফ এর বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়ন। তার পিতার নাম আব্দুর রহমান। বেশ কয়েক বছর যাবত আরিফ মায়ের সাথে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর গ্রামের গান্ধীর বাড়িতে বসবাস করছেন।

বিবার্তা/জাহেদ/এমজে