'যে আলো নন্দনের,যে আলো শিল্পের' এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো 'কথাশিল্পী রাজীব উল আহসান ও তার কথাসাহিত্যের উত্তরপাঠ' শীর্ষক তারুণ্যের শিল্প আড্ডা।
কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর অডিটোরিয়ামে ২৫ সেপ্টেম্বর,সোমবার এই আয়োজন করে জনপদ প্রাণ ও প্রকৃতি ফাউন্ডেশন।
এই শিল্প আড্ডায় সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি'র পরিচালক গীতিকার সুজন, সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ড.মোঃ আব্দুর রাশিদ,কবি ও ছড়াকার জীবন চক্রবর্তী,প্রগতি বাংলা মিডিয়ার প্রধান সম্পাদক মোঃ মোরশেদ আলম।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কমরেড আলকাস উদ্দিন মীর,উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নাসির উদ্দিন,ওয়ালী হাসান তালুকদার কলি,জাহাঙ্গীর রিপন, দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, মো: নূর আলম,পলাশ সাহা,মাসুদ রানা,মুর্শিদা আক্তার, মিমি চৌধুরী,মোঃ রাশেদুজ্জামান,আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ,জাবির আহমেদ প্রমুখ।
আয়োজনে নির্ধারিত বিষয়ের উপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জনপদ প্রাণ ও প্রকৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রভাষক জনপদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আলোকরা বলেন, সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও একজন লেখক ও কথাশিল্পী হিসেবে মোঃ রাজীব উল আহসান তার সাহিত্যের অন্তরগর্ভে সমাজকে দেখেছেন একজন যথার্থ শিল্পীর দায় থেকে।
যার দরুণ এক এক করে তার হাত ধরে উঠে এসেছে দুটি উপন্যাস -'একদা হিমু হতে চেয়েছিলাম' ও 'শিশু নিবাসের কাণ্ডকারখানা (শিশুতোষ উপন্যাস)' এবং তিনটি গল্পগ্রন্থ- 'দুহিতার বেসাতি','একটি নীল লিটমাসের গল্প','প্রযত্নে অপরাজিতা'র মতো গ্রন্থসমূহ।
এসব গ্রন্থের মধ্য দিয়ে তিনি তার পরিপার্শ্বের প্রচলিত সমাজকে শুধু অবলোকন ও পর্যবেক্ষণই করেননি, একই সাথে সে সমাজের অন্তর্গত দ্বন্দ্ব,ঘাত-প্রতিঘাত, সমাজে নারী ও শিশুর অধিকারহীনতা,
যুবক মানসের রোমান্টিসিজম এবং সর্বোপরি শ্রেণি বিভাজিত নিরন্ন মানুষের মনোবিকলন,অপরাধ প্রবণতা ইত্যাদি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ফুটে উঠেছে।
তারুণ্যের এই শিল্প আড্ডা সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্য মৃদুলা ইরিন মীরা ।
বিবার্তা/পলাশ/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]