এবার ডিসির ছোঁয়ায় বদলে যাবে ‘গুলিয়াখালী সৈকত’
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৫:১৯
এবার ডিসির ছোঁয়ায় বদলে যাবে ‘গুলিয়াখালী সৈকত’
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রামের সমুদ্র পাড়ে সবুজ গালিচা বিছানো এক বিস্ময়কর প্রকৃতি গুলিয়াখালী সি বিচ। চারপাশে বিস্তৃত জলরাশি। অন্যদিকে কেওড়া বন। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট ছোট খালের চারদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল বেড়িয়ে আছে। নতুনভাবে পর্যটকদের জন্য সীতাকুণ্ডের এই গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত সাজিয়ে তুলতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ সৈকতে শিগগিরই রিসোর্ট, ওয়াকওয়েসহ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। ডিসির ছোঁয়ায় বদলে যাবে গুলিয়াখালী সৈকত।


সেতু ও রিসোর্ট নির্মাণকাজের জন্য উপজেলা প্রশাসনের তৈরি নকশা অনুমোদিত হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান। সম্প্রতি গুলিয়াখালী সৈকত পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সৈকতের উন্নয়নের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সৈকতের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের ইউনিট চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।


পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করা, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনা, পর্যাপ্ত টয়লেট স্থাপন করা ইত্যাদি।


নকশা অনুযায়ী, বেড়িবাঁধ থেকে ইংরেজি ওয়াই আকৃতির ১০ ফুট ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এর দুই দিকে হবে রেস্তোরাঁ ও রিসোর্ট।


উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম বলেন, সব ঋতুতে পর্যটকেরা যেন সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন সেজন্য একটি নকশা করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক পরিদর্শন করে গেছেন। বর্ষাকালে জোয়ারের সময় সৈকত ডুবে যায়। তখন পর্যটকদের বেড়িবাঁধে অপেক্ষা করতে হয়। ওয়াকওয়েসহ সেতু নির্মাণ হলে পর্যটকরা সারাবছর গুলিয়াখালী সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।


সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতকে ‘পর্যটন শিল্প’ ঘোষণা করেছে পর্যটন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা যায়, এর আগেও নাগরিক জীবনে নির্মল আনন্দ দিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ১২২ প্রজাতির ফুল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ‘ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক’। ১০ বছরের বেশি সময় অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ২০০ একর খাসজমিকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।


কিছুদিন আগেও সেখানে ছিল অবৈধ হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মাদকের আখড়া। সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছিল শুকতারা নামের এ হোটেল। ডিসির ছোঁয়ায় তা পরিণত হলো এক বিনোদন স্পটে। উন্মুক্ত হলো এক ফুলের রাজ্য।


বিবার্তা/জাহেদ/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com