শিরোনাম
এই সেই দেড় লাখ টাকার দোতলা বাড়ি
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:১৯
এই সেই দেড় লাখ টাকার দোতলা বাড়ি
এইচ আর তুহিন, যশোর
প্রিন্ট অ-অ+

‘দোতলা বাড়ির নির্মাণব্যয় মাত্র দেড় লাখ টাকা’- শিরোনামে ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ‘বিবার্তা২৪ডটনেট’এ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা দেশব্যাপী সাড়া ফেলে। ওইদিন পোর্টালটির সর্বাধিক পঠিত তালিকায় দ্বিতীয় স্থান করে নেয় সংবাদটি। কিন্তু সে সময় বাড়ির ছবিটি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। রবিবার ছবিটি তোলা হয়। 

 

যশোর জেলা দুদকের কাছে দেয়া তথ্য বিবরণীতে অবিশ্বাস্য এ ব্যয় দেখিয়েছেন যশোর জেলা জজ আদালতের সাবেক পেশকার এসএম আনসার আলী। এ কারণে দুদক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে একটি মামলা করেছে।  

 

সম্পদের তথ্য বিবরণীতে জ্ঞাত বহির্ভূত আয় গোপনের অভিযোগে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম মোড়ল ১৬ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ৯১। মামলাটি রেকর্ড করেন এসআই মুঞ্জুরুল ইসলাম।

 

তবে এ মামলার তথ্য দিতে ওই দিন অস্বীকার করেন কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন।

 

মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম মোড়ল জানান, এসএম আনসার আলী কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় বসবাস করেন। যশোর জেলা জজ আদালতের পেশকার হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। কেশবপুরের আলতাপোল গ্রামে তার স্ত্রীর নামে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করেন। ওই ভবনের ব্যয় বিবরণীতে তিনি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭৭ টাকা কম দেখিয়েছেন।

 

তিনি আরো জানান, ২০১২ সালের ২৭ জুলাই আনসার আলী দুদকে তথ্য বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে দোতলা ভবন নির্মাণের ব্যয় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট দুদক গণপূর্ত বিভাগের সহযোগিতায় ওই ভবনের নির্মাণব্যয় নির্ণয় করে প্রতিবেদন দাখিল করে। সেখানে দেখা যায়, ওই ভবন নির্মাণে খরচ হয়েছে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৭ টাকা। কিন্তু এসএম আনসার আলী জ্ঞাত ব্যয় বহির্ভূত সম্পদ গোপন করে দুদকে তথ্য দিয়েছেন; যা দুদক আইনের ২০০৪ সালের ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী অপরাধ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

মামলার বিষয়টি সম্পর্কে কোতোয়ালি থানার ওসি ইলিয়াস হোসেনের কাছে ওই দিন জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বিবার্তাকে জানান, ‘এ বিষয়ে আপনাকে কোনো তথ্য দেব না। আপনি দুদকের সাথে কথা বলেন।’

 

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ারকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানানো হলে তিনি জানান, ‘আপনাকে পরে জানাচ্ছি।’ এক ঘন্টা অপেক্ষার পর আবারও মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।

 

এদিকে যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম মোড়ল মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। একইভাবে নিশ্চিত করেছেন মামলা রেকর্ডকারী এসআই মুঞ্জুরুল ইসলাম।

 

বিবার্তা/তুহিন/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com