শিরোনাম
ঝিনাইদহে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৩৭
ঝিনাইদহে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঝিনাইদহে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২ দিনে জেলা সদর হাসপাতালে দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।


শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে সদর হাসপাতালের মেডিসিনি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বেড কিংবা মেঝেতে পর্যন্ত তিল ধারনের ঠাই নেই। ভর্তি রোগীর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই নারী ও বয়স্ক।


সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬০ জন রোগী। আর বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১১০ জন। যাদের অধিকাংশ রোগীর বাড়ি শহরের হামদহ, কাঞ্চনপুর, মোল্লাপাড়া এলাকায়।


আলহেরা পাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, আমাদের ফ্যামিলিতে ৩ জন অসুস্থ হয়েছে। পরশুদিন রাতে ভর্তি করেছি। আমার বোন সুস্থ হয়েছে। বোনের বাচ্চা এখনো সুস্থ হয়নি। কয়দিন থাকা লাগবি তা তো বলতি পারছিনে।


খন্দকারপাড়া এলাকার সোনালী নামের এক রোগী বলেন, হঠাৎ করে আমার মেয়ের পাতলা পায়খানা হয়েছে। তারপর আমার স্বামীর, এরপর আমার হয়েছে। কিসের জন্যি হলো তা তো বলতি পারিনে। আমরা তো টিউবয়েলের পানি খায়। সাপ্লাই পানি দিয়ে গোসল আর রান্না করি। আমার শুধু একার না। আমার বাড়ির আশপাশের লোকজনেরও হয়েছে।


চৈতি নামের এক রোগী বলেন, স্যালাইনগুলো আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ওষুধও আমরা অনেক সময় পাচ্ছি না। অনেক রোগী তো। নার্সরাও ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না।


ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ তাপস কুমার বলেন, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা আসছেন তারা বয়স্ক। শিশুরা কম আক্রান্ত হচ্ছে। পৌরসভার একটি এলাকা থেকে রোগী বেশি আসছে। রোগী বেশি হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যেহেতু আমাদের জনবল কম। তারপরও আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করছি তাদের সেবা দিতে।


ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, রোগীরা বেশির ভাগই একটি নির্দিষ্ট এলাকার। এতে আমরা ধারণা করছি কোন খাবার অথবা পানির মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। যারা আক্রান্ত হয়নি তাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ তারা যেন পরিস্কার বিশুদ্ধ পানি পান করেন এবং হাত ধৌত করেন। সেই সাথে বাসি-পঁচা খাবার এড়িয়ে চলেন।


হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন-অর-রশিদ বলেন, শিশু ডায়রিয়া আগের মতই আছে, বয়স্ক মানুষের ডায়রিয়া হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সব জায়গায় যোগাযোগ করেছি। আমাদের ওষুধ, স্যালাইন পর্যাপ্ত আছে। আমরা আশা করছি এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব।


বিবার্তা/কোরবান/আশিক/জেএইচ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com