শিরোনাম
আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু
অবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভাল ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪৪
অবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভাল ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা
মনিরুজ্জামান মনির, বগুড়া
প্রিন্ট অ-অ+

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। ধুম পড়েছে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের। অবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভাল ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভের আশা করছেন তারা। কৃষকরা এখন আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে কৃষি পল্লীতে চলছে ধান কাটা-মাড়াইয়ের উৎসব।


পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় এবার প্রতি বিঘায় ফলন হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ মন হারে। আগাম জাতের রোপা আমন ধানে রোগ বালাই কম দামও ভালো পাওয়া যায়, তাই এতে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তার চেয়ে বেশী জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন চাষিরা। এর মধ্যে আগাম জাতের বিনা-৭, ব্রি ধান-১৭, ব্রি ধান-৭৫ ও স্থানীয় জাত মিনিকেট ধান চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫শ' ৩০ হেক্টর জমিতে।


সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু আশ্বিন ও কার্তিক এ দুই মাস চাষিরা বিশেষ করে প্রান্তিক চাষিরা অভাব অনটনের মধ্যদিয়ে দিন কাটান। অভাব অনটন দুর করার জন্য আগাম জাতের ধান আবাদের দিকে ঝুকছেন কৃষকরা। বর্তমানে এ জাতের বিনা-৭, ব্রি ধান-১৭ ও মিনিকেট ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে । বিনা-৭ প্রতিবিঘা ১৪-১৭ মণ ও ব্রি ধান-৭৫ প্রতি বিঘায় ১৬-১৮ মণ হারে ফলন হয়ে থাকে। আগাম জাতের ধান বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা অনেকটাই অর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। বর্তমানে এ ধান ৯৫০ থেকে ১০৫০ টাকা মণ দরে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রয় হচ্ছে।



আগাম জাতের ধান কাটার পর কৃষকরা ওই জমিতে আলু, সরিষা, পেঁয়াজ, ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশষ্যর চাষাবাদ করতে পারেন। এতে করে কৃষকরা প্রতি বছর একই জমিতে ৪ বার ফসল ফলাতে পারছেন। যার কারণে দিন দিন আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন উপজেলার কৃষকরা।


সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সবুজ আমন ক্ষেতের মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে আগাম জাতের সোনালি ধান। পৌর এলাকার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের বিনা-৭ ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ব্রি-৪৯ জাতের ধান পাকতে শুরু করেছে।


কয়েক বছর ধরে ব্রি-৪৯ ও বিনা-৭ জাতের আগাম ধানের চাষ করেন পৌর এলাকার বৈলগ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি জানান, প্রচলিত ধানের চেয়ে এক থেকে দেড় মাস আগে এ ধান কাটা যায়। আশ্বিন-কার্তিক মাসের অভাবের সময় এই ধান পাওয়া যায় বলে এলাকার মানুষ আগাম জাতের এ ধান চাষ করেন।


উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু জানান, এই উপজেলায় আগাম জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ এ জাতের ধান কাটার পর খুব সহজেই রবিশষ্য চাষাবাদ করতে পারেন তারা। এবার এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫শ' ৩০ হেক্টর জমিতে।


বিবার্তা/মনির/জেএইচ


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com