শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে মাছ ধরা উৎসব শুরু
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১৬:০৩
ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে মাছ ধরা উৎসব শুরু
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

প্রতিবারের মত এবছরও সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের শুক নদীর বুড়ির বাঁধে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। সোমবার (১৮ অক্টোবর) ভোর থেকে বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন আশে পাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।


বুড়ির বাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। বাদ যাননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছে। আর নদীর পাড়ে হাজারো মানুষ ভিড় জমিয়েছে মাছ ধরা দেখতে। অনেকে মাছ না ধরলেও বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের উৎসাহ দিচ্ছেন।


জানা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য সদর উপজেলার আচকা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকায় শুক নদীর উপর একটি জলকপাট (সুইসগেইট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর শীতের শুরুতেই বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার পর মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এভাবেই প্রতিবছর চলে বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব।


পৌর শহরের বেশ কয়েকটি মহল্লা, সদর উপজেলার আউলিয়াপুর, রুহিয়াসহ অন্যান্য এলাকা থেকে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হলে জানা যায়, মাছ ধরা উৎসবের কথা শুনে গতকাল রাতেই তারা এখানে এসেছে। পুঁটি মাছ, দেশী প্রজাতির মাছ, জালে আটকা পড়ছে বেশি। তবে গতবারের মতো এবারে তেমন মাছ নেই বলে জানান তারা।


পৌর শহরের সরকারপাড়া মহল্লাপর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতি বছর এখানে মাছ কিনতে আসি। দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় কম দামে। তবে আজকে বাঁধের মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন পুকুরের মাছও বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। দামও একটি বেশি চাচ্ছে। তারপরও মাছ কিনতে এসেছি দেশী প্রজাতির মাছ কিনেই বাড়ি ফিরবো।


আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন জানান, মাছ ধরার উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও মানুষের ঢল নেমেছে। এখানে কেউ মাছ ধরতে আসেন। কেউ বা আসেন মাছ ধরা দেখতে আবার কেউ আসেন কম দামে মাছ কিনতে। সেই যাই হোক এ সময় পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠে।


ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: খালিদুজ্জামান বলেন, প্রতিবারেই এই বুড়ির বাঁধ এলাকায় মৎস্য দপ্তর থেকে পোনা ছাড়া হয়। এটি আমরা জুলাই মাসের দিকে দিয়ে থাকি এবং শীতের শুরুতেই আবার বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার পর মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এভাবেই প্রতিবছর চলে বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসব। এ উৎসব ৪-৫ দিন চলবে।


বিবার্তা/রেদওয়ান/ইমারন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com