অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশে কোকাকোলা কারখানা চালু হওয়ায় দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে কোম্পানিটি। অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশে কোকাকোলা কারখানা স্থাপন করায় বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জানান।
বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি এলাকায় কোকাকোলা অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেডের কারখানা উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট, কোকাকোলা কোম্পানির প্যাসিফিক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জন মারফি, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইরিয়াল ফিন্যান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. এম আমানউল্লাহ, জেলা প্রশাসক কৃষিবিদ খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসন ও কোম্পানির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বলেন, ‘কোকাকোলার এই বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশের জনগণের সামনে ভালোভাবে জীবনযাপন ও জীবনযাপনের মানোন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হলো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে কোকাকোলাও অংশীদার ও সারথি হতে চায়।’
কোকাকোলা কোম্পানির প্যাসিফিক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জন মারফি বলেন, ‘কোকাকোলা কোম্পানি এই বিনিয়োগকে হালকাভাবে নেয়নি। আমরা নানা কারণেই বাংলাদেশে এই কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণের ইতিবাচক মনোভাব এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন জনবলের সহজলভ্যতা। বাংলাদেশের বর্তমান ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারায় একটি অপরিহার্য অংশ হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত’।
৭৪ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে এ কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই কারখানা থেকে দুই ধরণের পণ্য উৎপাদন হবে। পণ্যগুলো হলো- কোকাকোলা, ফানটা ও স্প্রাইট এবং কিনলে পানি। কারখানাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এদেশের অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলো।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকায় কোকাকোলার বটলিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ এবং হিন্দুস্তান কোকাকোলা বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টি. কৃষ্ণকুমার বলেন, ‘নতুন এই প্রকল্প উদ্বোধনের ফলে আমাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণের পাশাপাশি এ দেশের গ্রাহকদের জন্য ব্যাপক পরিসরে পণ্য উৎপাদন এবং বাজারে উচ্চ মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু পণ্য বিপণনের ক্ষেত্র তৈরি হল। আমরা সফল ভবিষ্যত গড়ে তোলায় বিশ্বাস করি, যাতে আমাদের গ্রাহক ও স্থানীয় সমাজের জন্য আমরা অন্যদের তুলনায় ইতিবাচক ও অর্থপূর্ণ পার্থক্য গড়ে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারি।
কোকাকোলা কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভেঙ্কটেশ কিনি বলেন, ‘কনজ্যুমার প্রডাক্টস বা ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান, প্রবৃদ্ধিশীল ও গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। সে অনুযায়ী কোকাকোলা কোম্পানির নতুন এই প্ল্যান্ট বা কারখানা আগামী দশকগুলোতে বাংলাদেশের মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং নিত্য নতুন পণ্য উৎপাদনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের অগ্রগতি অর্জনের অভিযাত্রার অংশ হতে পেতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
বিবার্তা/শাকিল/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]