তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতে গত দুই দিনে জেলার জীবননগর উপজেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে শনিবার রাতে উপজেলার উথলী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জুড়োন (৬২) ও গঙ্গাদাসপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিন কবিরাজ (৬৫) এবং রবিবার ভোরে ধোপাখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম (৭০) ও তেতুলিয়া গ্রামের ছমিরন নেছা (৭৫) শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানায়, শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া রবিবার ও সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, শীতের সাথে হিমেল বাতাস হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহের কারণে হাড়কাঁপানো শীতে জেলার জনজীবন একেবারে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে গত ৩ দিনে জেলার কোথাও তেমন সূর্যের দেখা মেলেনি। মাঝে মধ্যে দেখা মিললেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এ কারণে ক্রমেই বাড়ছে শীতের প্রকোপ।
শীতে দুর্ভোগ দুর্দশা বাড়ছে ছিন্নমূল মানুষের। কষ্টে পড়েছে বৃদ্ধ, শিশু এবং সকালে কর্মের সন্ধানে ছোটা মানুষদের। শৈত্যপ্রবাহের হাড়কাঁপানো শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখিও কাবু হয়ে পড়েছে। এই শীতের মাথাব্যথা, কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কনকনে শীতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বাজার-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। এলাকার ছিন্নমূল মানুষেরা খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। বাজারের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র কেনার জন্য নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
বিবার্তা/শামসুজ্জোহা/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]