শিরোনাম
তিতাস নদী দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩৩
তিতাস নদী দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিদস্যুদের থাবা থেকে কোন রকমেই মুক্তি মিলছে না ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর তিতাস নদীর। নদীর পাড়ে বেড়ে উঠা ভূমিদস্যুদের দখলে তিতাস দিনদিন সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, রসুলপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাই এর ছেলে সৌদী প্রবাসী আবদুল কাদির তিতাস নদীর ১৪ শতক জায়গা দখল করে রেখেছে। জায়গাটি স্থায়ীভাবে পাওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর নাটঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দরখাস্ত করেন। দরখাস্ত মঞ্জুর হয়েছে কি হয়নি তার কোন তোয়াক্কা না করেই নদীর প্রায় ৪ শতক জায়গা দখল করে স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করেন।


গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, আবদুল হাই ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি নদীর জায়গা দখল করে স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করে দখল করে আসছে। এর মাঝে আবদুল কাদিরের আপন চাচাতো ভাই মৃত মোবারক সর্দারের ছেলে প্রবাসী ইয়াকুব মিয়াও সাড়ে তিন শতাংশ জায়গা দখল করে ইমারত নির্মাণ করেছে। অন্যদিকে একই গ্রামের মৃত মন্তা মিয়ার ছেলে ইলু মিয়া নদীর ২শতক জায়গায় তিনতলা ইমারত করে দীর্ঘ ১০বছর ধরে বসবাস করছে।


বিষয়টি নিয়ে কথা হলে প্রবাসী আবদুল কাদিরের স্ত্রী রিমা বেগম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে থাকেন। আমরা এ জায়গাটি দীর্ঘদিন থেকেই কৃষিচাষ করে ব্যবহার করছি। আমার স্বামী গত দুই বছর আগে এখানে বিল্ডিং করেছে, এ পর্যন্ত কেউ এসে বাধা দেয় নাই।


ইয়াকুব মিয়ার ছোট ভাই প্রবাসী আরফান আলী জানান, আমাদের জায়গা অধিগ্রহণ করে তিতাসের উপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। আমার ভাই এখানে জায়গা খালি পেয়ে গত ৩ বছর আগে বিল্ডিং নির্মাণ করেন।


এ বিষয়ে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি জায়গাটি ১নং খতিয়ান অন্তর্ভুক্ত। যদি তা-ই হয় তবে এখানে স্থায়ী স্থাপনা তৈরির কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি নোঙর'র পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করার পর নির্বাহী প্রকৌশলী মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান সংগ্রহ করে লিখিত আবেদন করতে পরামর্শ দেন।


নাটঘর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নায়েব সালেহ আহমেদ বলেন, আমি গত এক বছর আগে এখানে বদলী হয়ে এসেছি। এখনো বিস্তারিত বলতে পারবো না, তবে আমি জানি এ জায়গাটি রসুলপুর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৮৮৫ দাগের ৭ শতক ও ৮৭৩ দাগের ৭ শতক খাস জিম ভিটি দেখিয়ে স্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য আবদুল কাদির গত দুই বছর পূর্বে দরখাস্ত করেছে যা এখনো দরখাস্ত মঞ্জুর হয়নি।


বিষয়টি নিয়ে নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, নদীর জায়গা বন্দোবস্ত করে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তারা কিভাবে ইমারত নির্মাণ করেছে বিষয়টি আমি জানি না। আমি ভূমি নায়েবকে সেখানে পাঠিয়ে খবর নিচ্ছি।


বিবার্তা/নিয়ামুল/ওবাইদুল্লাহ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com