শেরপুরের শ্রীবরদীতে গৃহবধূ কাজলী বেগম (২৫) কে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম ওরফে আকুল (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহতের বাবা শালু মিয়া বাদী হয়ে কাজলীর স্বামী মো. নেহালসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিনজনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার রফিকুল উপজেলার সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের কর্ণঝোড়া (মেঘাদল) গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। ঘটনার পর থেকে কাজলীর স্বামী নেহাল পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কর্ণঝোড়া ঢেউফা নদীর পাড় থেকে গৃহবধূ কাজলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে শ্রীবরদী থানার পুলিশ। কাজলী কর্ণঝোড়া গ্রামের শালু মিয়ার মেয়ে।
এদিকে শনিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিহত কাজলীর লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মো. খাইরুল কবির জানান, ময়নাতদন্তে কাজলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তিন-চার বছর আগে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কন্যাকান্দা গ্রামের মো. নেহালের সঙ্গে কাজলী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে অধিকাংশ সময়ই কাজলী তার বাবার কর্ণঝোড়া গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। কাজলীর সঙ্গে গ্রেফতার রফিকুল ইসলামের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কাজলী বেগম বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির অদূরে কর্ণঝোড়া ঢেউফা নদীর পাড়ে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় কাজলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। সংবাদ পেয়ে শ্রীবরদী থানার পুলিশ তার (কাজলী) লাশ উদ্ধার করে।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাশিম বলেন, পুলিশ হত্যা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত ও প্রধান আসামি কাজলীর স্বামী নেহালসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
বিবার্তা/মনির/ইমরান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]