শিরোনাম
ঐতিহ্য হারাচ্ছে দিনাজপুরের আসুরার বিল
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, ০১:১৩
ঐতিহ্য হারাচ্ছে দিনাজপুরের আসুরার বিল
শাহ আলম শাহী, দিনাজপুর
প্রিন্ট অ-অ+

অযত্ন আর অবহেলায় অস্তিত্ব হারাতে বসেছে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষিত দিনাজপুরের ঐতিহাসিক আসুরার বিল। সংস্কার না হওয়ায় ভরাট হয়ে গেছে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশাল এই বিলটি। দখল হয়ে গেছে শত শত বিঘা জলাশয়। বেকার হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মৎস্যজীবী। অতিথি পাখির দেখাও মিলছেনা এই বিলে।


দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে ঐতিহাসিক আসুরার বিল। ইতিহাসের কিংবদন্তি গাঁথা আর সবুজের অরণ্য ঘেরা নয়নাভিরাম এ আসুরার বিল। ইতিহাসবেত্তাদের মতে এই বিলের এক সময় ৮০টি মুখ ছিল বলেই এর নামকরণ হয়েছে আসুরার বিল। দুই শত একান্ন একর বিস্তৃত ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিলটিকে নদীর মতো দেখা গেলেও এটি আসুরার বিল হিসেবেই পরিচিত।



একসময় এই বিল থেকে মাছ আহরণ করে আশপাশের সহস্রাধিক পরিবার করতো জীবিকা নির্বাহ। আর খরা মৌসুমে এ বিল থেকেই ফসলী জমিতে দেয়া হতো সেচ। শীত মৌসুমে ঝাকে ঝাকে অবস্থান করতো অতিথি পাখি।


টেংরা, মাগুর, গচিসহ দেশীয় মাছের জন্য খ্যাতি ছিলো এ বিলের। এখন বিলটির বুকে চলছে ফসলের চাষাবাদ। সংস্কার না হওয়ায় ভরাট হয়ে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ঐতিহাসিক এই বিলটি। দখল হয়ে গেছে বিলের অনেক জায়গা। এখন আর এ বিলে নাই অতিথি পাখি।



দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের আওতায় এ ঐতিহাসিক আসুরার বিলকে ৮ বছর আগে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। তার পরও বিলটি পড়ে আছে অযত্ন আর অবহেলায়।


বিলটি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।


সংস্কার হলে বিলটি যেমন তার ঐতিহ্য ফিরে পাবে, তেমনি মাছের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খরা মৌসুমে সেচ সুবিধা পাবে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। অতিথি পাখিরা আবার আসবে। পর্যটকদের পদচারণায় ভরে উঠবে এলাকা এমন প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।


বিবার্তা/শাহী/পলাশ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com